ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ জামাল ৫-০ ব্রাদার্স

ওয়েডসনের হ্যাটট্রিকে জয় শেখ জামালের

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৭ এপ্রিল ২০১৬

ওয়েডসনের হ্যাটট্রিকে জয় শেখ জামালের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আট ফুটবলার দলে নেই। ফলে ক্ষয়িষ্ণু শক্তি হিসেবেই ধরা হয়েছিল শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে। কিন্তু চলমান ‘কেএফসি স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এ জামালের খেলা দেখে কিন্তু তেমনটা মনে হচ্ছে না। ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় কুড়িয়ে নিয়েছে তারা। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের জালে গোলের বন্যা বইয়ে দেয়। ব্যবধান ছিল ৫-০। ওয়েডসন এ্যানসেলমে অনবদ্য হ্যাটট্রিক করেন, যা ছিল এই টুর্নামেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিক। শফিকুল ইসলাম মানিকের দল প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। শেখ জামাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে মোহামেডান স্পোর্র্টিং ক্লাবকে হারিয়েছিল। আর নিজেদের প্রথম ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল গোপীবগের দল ব্রাদার্স। ম্যাচে সুস্পষ্ট প্রাধান্য বিস্তার করে শেখ জামাল। প্রাপ্ত সুযোগগুলোর বেশিরভাগই গোলে পরিণত করে তারা। পক্ষান্তরে দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভাল খেলে ব্রাদার্স। অথচ এই অর্ধেই বেশি গোল হজম করে তারা! ২১ মিনিটে সতীর্থর কাছে থেকে বল পেয়ে আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল পোস্টে ঠেলে দেন জামালের অধিনায়ক-হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন (১-০)। ২৩ মিনিটে বক্সের কোনা থেকে এমেকাকে পাস দেন ওয়েডসন। বক্সে বল রিসিভ করে বাঁ পায়ের বক্র শটে ব্রাদার্সের জালে বল পাঠান এমেকা ডার্লিংটন (২-০)। ৭২ এনামুলের পাসে বল নিয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ওয়েডসন (৩-০)। ৭৪ মিনিটে ওয়েডসনের থ্রু পাস থেকে গোল করেন এমেকা (৪-০)। ৮৪ মিনিটে ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের কাছ থেকে লম্বা পাস পেয়ে সেই বল জালে পাঠিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ওয়েডসন (৫-০)। ২০১০ সালে ধানম-ি ক্লাবটি শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব নামে আত্মপ্রকাশ করে। তারা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। মোট তিনবার লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। ২০১৩ সালে আটবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ জয় করে ক্লাবটি (মোট শিরোপা তিনটি)। ২০১০ সাল থেকে টানা চার বছর ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলে তারা। দেশের বাইরে নেপালে ২০০০ সালে ক্লাব বুদ্ধ সুব্বা গোল্ডকাপ জয় করে। ২০১১ সালে নেপালে সাফাল পোখারা কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনালে শেখ জামাল নেপাল আর্মিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৪ সালে ভারতের কলকাতায় আইএফএ শিল্ড কাপের ফাইনালে উঠে শেখ জামাল। ফাইনালে কলকাতা মোহামেডানের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়। ওই বছরই ভুটানে অনুষ্ঠিত কিংস কাপে হয় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। এর আগে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে কখনই শিরোপা জেতেনি শেখ জামাল। ২০১১ সালে অবশ্য ফাইনালে উঠেছিল। কিন্তু সেবার ফরাশগঞ্জের কাছে ফেবারিট হয়েও অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গিয়েছিল তারা। এবার আট খেলোয়াড় ছাড়া খেলতে হবে তাদের। এখন দেখার বিষয়, এমন খর্বশক্তির দল নিয়ে এই আসরে কেমন ফল করে তারা।
×