ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের খনিজ সম্পদ

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৭ মার্চ ২০১৬

শিল্পায়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের খনিজ সম্পদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্বপ্ন দেখাচ্ছে নওগাঁ-জয়পুরহাটের খনিজ সম্পদ। ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারি শিল্পায়নে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে। এ অঞ্চলের প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ও চিনামাটির সন্ধান পাওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন শিল্পোদ্যোক্তাসহ সাধারণ মানুষ। বলা হচ্ছে কেবল যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন আর বিনিয়োগ বাড়ানো গেলেই অঞ্চলটি হতে পারে খনিজ সম্পদ আহরণের একটি বড় ক্ষেত্র। পাশাপাশি গড়ে তোলা যেতে পারে শিল্প জোন। সূত্র জানায়, ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) সূত্র জানায়, ১৯৬২ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত উত্তরাঞ্চলে অন্তত ৫ থেকে ৭টি স্থানে খনিজ সম্পদের সন্ধানে প্রাথমিক জরিপ চালানো হয়। জরিপের পর কূপ খনন করে নওগাঁর পতœীতলায় চিনামাটি, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে কয়লার সন্ধান পাওয়া যায়। অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, জামালগঞ্জের খনি দেশের প্রথম ও সবচেয়ে বড় কয়লা খনি। জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলার প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ খনির বিস্তৃতি। খনিতে প্রায় ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন টন কয়লার মজুদ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তিনি জানান, জামালগঞ্জ কয়লা খনিতে রয়েছে মিথেন গ্যাস। কিন্তু কি পরিমাণ আছে তা এখনও জানা যায়নি। এ বছরের (২০১৬) শুরুতেই ওই খনিতে মিথেন গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সিবিএম পদ্ধতিতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। পেট্রোবাংলা জামালগঞ্জ সিবিএম স্টাডি প্রকল্পের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, জয়পুরহাটের বড় মাঝিপাড়া এলাকায় কূপ খনন চলছে। গ্যাসের পরিমাণ নির্ণয়ে ওই খনি এলাকায় ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর দি এক্সট্রাকশন অব কোল বেড মিথেন (সিবিএম) এ্যাট জামালগঞ্জ কোল ফিল্ড’ এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৩টি কূপ খনন করে নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে জামালগঞ্জ খনি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস দেশের জ্বালানি খাতের সঙ্গে একটি বড় অংশ যোগ হবে। এছাড়া প্রাপ্ত গ্যাসের পরিমাণ আশানুরূপ হলে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্র জানায়, নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার তাজপুরে মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধানে কাজ শুরু করেছে জিএসবি। সংশ্লিষ্টরা জানায়, তাজপুরে স্তরতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ ও খনিজ সম্পদের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে একটি নিরীক্ষা কূপ খনন শুরু করা হয়েছে। আগামী ৫ থেকে ৭ মাস ধরে অন্তত ৪ হাজার ফিট গভীর করে কূপ খননের মাধ্যমে খনিজ সম্পদের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা চালানো হবে।
×