ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাহারি পণ্যের সমাহার থাই মেলায়

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ১৭ মার্চ ২০১৬

বাহারি পণ্যের সমাহার থাই মেলায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রায় প্রতিবছরই বাংলাদেশে আয়োজন করা হচ্ছে থাইল্যান্ডের পণ্যের মেলা। দেশটির বিভিন্ন পণ্যের প্রতি বাংলাদেশীদের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে বলেই এ আয়োজন। বুধবার থেকে রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী থাই পণ্যের প্রদর্শনী। প্রথম দুইদিন ব্যবসায়ীদের জন্য ও পরের দুইদিন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে এবারের থাইল্যান্ড উইক-২০১৬। এ প্রদর্শনী চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন এবং ঢাকার থাইল্যান্ড দূতাবাস। থাইল্যান্ডের ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের পণ্য স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। মেলায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রথম দিনেই বেশ জমজমাট। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভালই ভিড় দেখা গেল। প্রথম দিনটি আয়োজকরা শুধু প্রদর্শনীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন। তাই বিক্রি খুব একটা হয়নি। তবে আজ বিক্রি বাড়বে বলে জানা গেছে। ঘুরে দেখা গেল, প্রায় নানা রকমের সুস্বাদু খাদ্য থেকে শুরু করে পারফিউম, ব্যাগ, স্যান্ডেল, মেশিনারিজ, প্লাস্টিকসহ থাইল্যান্ডে তৈরি নানা পণ্যের সমাহার রয়েছে প্রদর্শনীতে। আছে থাইল্যান্ডের বিশেষ কিছু ফলমূল। আছে অর্কিডের টব, সূক্ষ্ম কারুকাজ করা থাই হ্যান্ড ব্যাগ। বিভিন্ন পাথর ও মেটালের গলার মালা, কানের দুল, সিরামিকের তৈরি গয়না, কাপড়ের তৈরি ফুলেল ব্যান্ড, ক্লিপ, খোঁপা, কাঁটাও রয়েছে। এছাড়া কসমেটিক্স, ক্রোকারিজ, বিউটি পার্লার সরঞ্জাম, হেয়ার শ্যাম্পু, পোশাক, ব্রেসলেট, হরেক রকমের জুতো, ব্যালেরিনা শো, গয়নাসহ অনেক কিছু। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের থাই শুকনো খাবার-মিষ্টি তেঁতুল, জেলি চকলেট, সস, আচার, জুস থেকে শুরু করে হরেক রকমের মুখরোচক খাবার। তবে এখানে সবপণ্যই কিন্তু একদামে কিনতে হবে। প্রয়োজনীয় এসব জিনিসের পাশাপাশি আছে মজাদার ও চমকপদ কিছু আইটেম। থাইল্যান্ডের ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের পণ্য স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ফল আমদানি করে বাংলাদেশে বিক্রি করছে থাই মার্ট ঢাকা। মেলায় অংশ নেয়া এ স্টলে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ৪১ ধরনের সুস্বাদু ফলের সমারোহ রয়েছে এখানে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাম্বুটান ফল। এটি অনেকটা কদম ফুলের মতো। ফলের ভেতরের অংশটা সাদা লিচুর মতো। আছে পুরোটাই হলুদ বর্ণের চ্যারি ম্যাঙ্গো। গ্রিন ম্যাঙ্গো, রোজ আপেল, পাপেয়া, প্লাম, ড্রাগন ফল প্রভৃতি। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী কুনতিকা আপার্ড (ওয়ে) বলেন, এ প্রদর্শনীতে আমরা অনেক তথ্য সরবরাহ করতে পারছি। দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের মাঝে তুলে ধরছি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সুস্বাদু ফলের বিবরণ। এছাড়া রয়েছে থাই ফুড রান্নার পদ্ধতি শেখার ব্যবস্থা। আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশে রাজকীয় থাই দূতাবাসের সহযোগিতায় থাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিপার্টমেন্ট এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় চার দিনব্যাপী এই ‘থাইল্যান্ড উইক ২০১৬’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, থাইল্যান্ডে পণ্য আমদানির সঙ্গে রফতানির পরিমাণও বাড়ানো হবে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
×