ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষিপণ্য রফতানি কমেছে ১৩ শতাংশ নেতিবাচক ধারা চা রফতানিতেও

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১৫ মার্চ ২০১৬

কৃষিপণ্য রফতানি কমেছে ১৩ শতাংশ নেতিবাচক ধারা চা রফতানিতেও

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে কৃষিপণ্য রফতানি কমেছে ১২ দশমিক ৯৮ শতাংশ। কৃষিপণ্যের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক ধারা দেখা গেছে চা রফতানিতে। গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে চা রফতানি কমেছে ৪১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মার্চ মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ৫৮ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই- ফেব্রুয়ারি মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৪০ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৮ মাসের এই খাতে ৩৭ কোটি ৩৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৫ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ প্রথম ৮ মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৬২ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে কৃষিপণ্য রফতানিতে। কৃষিপণ্যের মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে চা ও মসলা জাতীয় পণ্যের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হলেও সবজি, তামাক, কপি, ফল ও শুকনো খাবার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। আলোচ্য সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে মসলা জাতীয় পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে চা রফতানিতে আয় হয়েছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪১ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চা রফতানিতে আয় হয়েছিল ২৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৮ মাসে এই খাতে আয় হয়েছিল ২৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৮ মাসে চা রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে সবজি রফতানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ দশমিক ০৫ শতাংশ কম। একই সময়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপি রফতানিতে আয় হয়েছে ৪৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৯ দশমিক ০১ শতাংশ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে শুকনো খাবার রফতানিতে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতে রফতানি আয় ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়লেও অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে শুকনো খাবার রফতানিতে। আলোচ্য সময়ে তামাক রফতানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের তুলনায় এই খাতের আয় কমেছে ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তামাক রফতানিতে আয় হয়েছিল ৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৮ মাসে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ফল রফতানিতে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে অন্যান্য কৃষিপণ্য রফতানিতে আয় হয়েছে ১৫ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ কম।
×