ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খেজুর গাছ লাগান বেশি

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৫ মার্চ ২০১৬

খেজুর গাছ লাগান বেশি

দেশজুড়ে এখন চলছে ভরা শীত মৌসুম। এক সময় শীত মৌসুম বলতেই বোঝা যেত খেজুরের রস এবং রসের তৈরি নানা রকমের পিঠা ও পায়েসের আয়োজন। আর এসব পিঠা ও পায়েস খুবই মজাদার। আমার মনে হয় এমন কোন লোক নেই যে, খেজুরের রস ও গুড়ের তৈরির পিঠা এবং পায়েসের কথা শুনলে জিভে জল আসবে না। তবে এখন আর সে দিন নেই। প্রতিবছর শীত ঠিকই আসে কিন্তু আমরা পাই না সেই খেজুরের টাটকা রস ও রসের তৈরি পায়েস এবং নানা রকমের পিঠার স্বাদ। কারণ আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। অবাধে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে খেজুর গাছ। তাছাড়া নতুন করে খেজুর গাছ লাগানো হচ্ছে না। অথচ একটি খেজুর গাছ থেকে বছরে ৩০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব যা অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। খেজুর গাছের কাঠও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। এর কাঠ দ্বারা ঘরের খুঁটি, আড়া ইত্যাদি তৈরি করা যায়। পাতাও ব্যবহার করা যায় নানা কাজে। এক কথায় খেজুর গাছের কোন কিছুই ফেলনা নয়। খেজুর গাছের প্রতি তেমন যতœও নেয়ার দরকার হয় না। একটু সুযোগ পেলেই এ গাছের চারা ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে। তাই আসুন অন্যান্য গাছের পাশাপাশি আমরা বেশি করে খেজুর গাছ লাগাই এবং এর প্রতি যতœবান হই। আবদুল হালিম হাওলাদার উজিরপুর, বরিশাল গঠনতন্ত্র জানার অধিকার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তথ্য গোপন করার কোন সুযোগ নেই। অবকাশ নেই জনগণকে বোকা মনে করার। সকল রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে নিজ নিজ দলের সকল তথ্য ভা-ার জনগণের সামনে উন্মুক্ত করা। রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয়। যার মাধ্যমে দল চলবে। দলীয় রীতি-নীতি, শৃঙ্খলাবোধ, আদর্শ, দেশপ্রেম, সার্বভৌমত্ব হেফাজত, স্বাধীনতা রক্ষা ও মজবুত করার ঘোষণা থাকবে। রাজনৈতিক দলের সকল কর্মকা- পরিচালিত হবে গঠনতন্ত্রকে অনুসরণ করে। একটি তারিখ ঘোষণার মাধ্যমে নির্ধারিত সময় কাউন্সিল করে দলীয় কমিটি গঠিত হবে। সকল রাজনৈতিক দলের কাউন্সিল হবে প্রকাশ্যে ও স্বাধীনভাবে। কোন্ পদ্ধতিতে দলের কমিটি গঠিত হয় সেটি অধিকাংশের অজানা। দলের বেশিরভাগ নেতা অবগত নন কোন্ পদ্ধতিতে দলীয় কমিটি গঠিত হয়। গঠনতন্ত্রে গণতন্ত্র থাকলে নির্বাচন কমিশন কাউন্সিলে উপস্থিত থেকে কমিটি গঠন প্রত্যক্ষ করবে এবং অনুমোদন দেবে। কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনে প্রকাশ্য নির্বাচনী বাক্স থাকবে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হবেন। কারা কাউন্সিলর হবেন সেটি নির্ধারণে স্বচ্ছতা থাকবে। গঠনতন্ত্রে গণতন্ত্র না থাকার কারণে তাঁবু বা শামিয়ানার নিচে বসে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে দলীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময় সভাপতির পরামর্শে সাধারণ সম্পাদক কমিটি গঠন করে। কেউ জানে কেউ জানে না, কাউন্সিলের নামে কি হয়ে গেল! বলছিলাম গঠনতন্ত্রের কথা। একটি নীতিমালার মাধ্যমে দলের গঠনতন্ত্র তৈরি হবে এবং গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হয়ে দল জাতির নিকট উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পাবে। দলীয় গঠনতন্ত্রে গণতন্ত্র, স্বাধীনতা রক্ষার কথা, জাতির পিতা ও সংবিধানের কথা কিভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সে বিষয়ে প্রকাশ করা। রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র দেশের পবিত্র সংবিধানকে অনুসরণ করেই তৈরি করা হয়ে থাকে। এতে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার কথা লিপিবদ্ধ থাকবে। রাজনৈতিক দল চলবে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে। ১৯৭১-এ স্বাধীনতা লাভের আগে আওয়ামী লীগের জন্ম হলেও অন্য দলগুলোর জন্ম স্বাধীনতার অনেক পরে। গঠনতন্ত্রে স্বাধীনতার বিষয়ে কি কি বলা হয়েছে তার সঠিক তথ্য জনগণ জানতে চায়। গঠনতন্ত্র মজবুত হলে দল মজবুত ও শক্তিশালী হয়। দল শক্তিশালী হলে ক্ষমতায় যাওয়া বা থাকার সুযোগ পাকাপোক্ত হয়। সকল রাজনৈতিক দলের উচিত হবে জনগণের সামনে দলীয় গঠনতন্ত্র পেশ করা। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
×