ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থবছরের প্রথম সাত মাস

পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা কমলেও নিষ্পত্তি বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১ মার্চ ২০১৬

পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা কমলেও নিষ্পত্তি বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার কমলেও নিষ্পত্তি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এলসি খোলা কমেছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এ সময়ে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্য আমদানির এলসি বেশি কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার অনেক কমে গেছে। তবে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খেলার হার বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি এই সাত মাসে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৭৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১০৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। সে হিসাবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে ২৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্যপণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয় ৭৬ কোটি ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম তথা জ্বালানি তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৩০ কোটি ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ শতাংশ কম। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এ পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছিল ২২৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের। এ সময়ে পেট্রোলিয়াম পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ কম। প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ২৬৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা গেল অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ছিল ২২০ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। সে হিসেবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর এ সময়ে ১৯৫ কোটি ৫২ লাখ ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি নিষ্পত্তি হয়েছে, যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৭২ কোটি ১৪ লাখ ডলার। এ হিসেবে মূলধনী যন্ত্রপাতির নিষ্পত্তি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
×