ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সফদার ডাক্তার চাই না

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সফদার ডাক্তার চাই না

সমাজে তাকালেই আমরা দেখতে পাই যে, ডাক্তারের অভাবে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। আবার হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে রয়েছে শত শত রোগী অথচ চিকিৎসা পাচ্ছে না। আর অতিরিক্ত ফি’র কথা তো বলাই বাহুল্য। অথচ ডাক্তারের প্রধান কাজ হচ্ছে সেবা প্রদান করা। প্রত্যেক ডাক্তার শপথগ্রহণ করে থাকেন যে, মানবসেবায় নিজেকে বিলিয়ে দেবেন। কিন্তু যখনই ব্যাঙের ছাতার মতো গজে ওঠা প্রাইভেট ক্লিনিক আর চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তখন ভুলে যান তার সব অঙ্গীকার। ভুলে যান একজন ডাক্তার জনগণের টাকায় লেখাপড়া করে আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। একজন ডাক্তারকে তাই করা উচিত যা সে অঙ্গীকার করে থাকে। যা সে জানে, যা করলে মরণের পরও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন সেটা করাই ভাল। ভালোর কথাটাই মানুষ বলবে। আর মন্দ করলে মানুষ মন্দটাই বলবে। বর্তমান সমাজে ভাল ডাক্তারের বড় অভাব। বর্তমান সমাজে উচ্চশিক্ষিত ডাক্তার আছে, হাসপাতাল আছে আবার আইন অনুযায়ী নির্ধারিত ফি দেয়া আছে ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়। কিন্তু প্রয়োগ নেই। কেননা যখনই কোন রোগী ডাক্তারের পাল্লায় পড়ে তখনই সে যেন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এই ভেবে যে, এই বুঝি মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলবে, অতিরিক্ত ফি আদায় করবে, নানান পরীক্ষা করতে বলবে ইত্যাদি ভেবে। নিরীহ জনসাধারণের সামনে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে সবাই সম্মান আর শ্রদ্ধা করবে। আজ সমাজে বিশৃঙ্খলার জন্য ডাক্তারদের একটা অংশ দায়ী। সেবক যদি ভক্ষক হয়, সেবা দেবে কে? এসএ বিপ্লব সরকারী তোলারাম কলেজ নারায়ণগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে স্বাধীনতা-পরবর্তী বর্তমান সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান প্রশংসার দাবিদার। সৃজনশীল শিক্ষা পদ্বতি এই সরকারের আমলেই সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারী শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট সক্রিয়। পূর্বে ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পদ্ধতি ছিল দুর্নীতির আখড়া। সরকার ২২ অক্টোবর ’১৫ থেকে এই নিয়োগ পদ্ধতি বন্ধ করায় কুচক্রী মহল উৎকোচ হতে বঞ্চিত হওয়ায় এর বিরোধিতা করে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী অবিচল থাকায় দেশের মেধাবী চাকরি প্রত্যাশী ব্যক্তিবর্গ আশায় বুক বেঁধে আছে, এবার হয়ত আর্থিক ঘুষ ছাড়াই চাকরি হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এখন থেকে শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ পরীক্ষা (ঘঞজঈঅ) বিলুপ্ত হবে, সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং ইতোপূর্বে যারা শিক্ষক নিবন্ধন (ঘঞজঈঅ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের সার্টিফিকেটের মেয়াদ হবে ৩ বছর। কিন্তু যাদের ঘঞজঈঅ কর্তৃক প্রদানকৃত সার্টিফিকেটের মেয়াদ এখনও উত্তীর্ণ হয়নি, তারা কি এই মেধা তালিকার অন্তর্ভুক্ত হবে না ? বিষয়টি অস্পষ্ট। কাজেই পরিপত্র প্রদানের দিন থেকে যারা শিক্ষক নিবন্ধন (ঘঞজঈঅ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সার্টিফিকেটের মেয়াদ আছে, তাদের ৩ বছর মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মোঃ আবুল ফেরদৌস দুর্গাপুর, নেত্রকোনা আমাদের বাঁচান আমরা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের দামাল কোট বাজার এলাকার বাসিন্দা। আমরা মাদক, গাঁজা, মদ, ভাং, ‘বাবা, চাচা’র অত্যাচারে অতিষ্ঠ। মেহেরবানি করে আমাদের রক্ষা করুন। স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলতে পারি না। প্রকাশ্যে কেউ কেউ গাঁজা বিক্রি করে আবার ফোন করে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। কেউ গাঁজা কিনলে বিক্রি করার পর বিক্রেতাই আবার পুলিশকে ফোন করে ধরিয়ে দেয়। পুলিশ গাঁজা বিক্রয়কারীকে না ধরে গাঁজা ক্রয়কারীকে ধরে নাজেহাল করে এবং সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে। এর কোন প্রতিকার নেই। আমরা এলাকাবাসী এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং প্রতিকার চাই। ডাঃ এম এস হক ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা রাজাকারের দুঃসময় এখন চলছে বাংলাদেশে রাজাকারদের দুঃসময়। একটিই সেøাগানÑরাজাকারমুক্ত বাংলা চাই, আইএসমুক্ত বিশ্ব চাই। এ দেশ প্রায় ৩০ বছর ছিল রাজাকার ও স্বৈরাচারদের। স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশ ছিল ৩০ বছর মধ্যযুগীয় অন্ধকার গহ্বরে। এ সময় একজন মহাস্বৈরাচার বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে খুনের রাজ্যে। যার নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ শত শত মুক্তিযোদ্ধার খুনের কলঙ্ক। যিনি মনেপ্রাণে ও বাস্তবতায় লালন করেছেন রাজাকার। তার রেখে যাওয়া উত্তরসূরিরা অবাধে চাষাবাদ করে যাচ্ছে রাজাকারের বীজ। ’৭১-এর রাজাকার আজকের জঙ্গীবাদ। আইএস-এর ছদ্মবেশ ’৭১-এর রাজাকার। কোমলমতি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিই যাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার। ’৭১-এ পরাজিত হওয়াই, প্রতিশোধের অস্ত্র। এদের নির্দিষ্ট কোন দেশ নেই, ধর্ম নেই; নেই দেশাত্মবোধ, নেই মমত্ববোধ, নেই মানবপ্রেম। এরা রক্তপিপাসু সাইকো। এরা চায় অখ- পাকিস্তান। লাল-সবুজ পতাকার আড়ালে এখনও খোঁজেÑপাক সার জমিন সাদবাদ। রাজাকারদের অপআদর্শ থেকে মুক্তি পাওয়ার এখনই সময়। প্রগতিশীল স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির হাতে যতদিন রবে দেশ পরিচালনার মহান দায়িত্ব ততদিনে বদলে যাবে রাজাকারদের ফ্যাসিস্ট প্রকৃতি এদেশের মাটি, পানি, বায়ু, জৈবিক ও মানসিক সত্তা থেকে। নবযুগ সূচিত হবে সাম্যবাদের প্রেরণা নিয়ে। ঝরে যাবে বিষাদের পাপড়ি। বাংলাদেশ মেলে ধরবে তার বনেদি গরিমাকে অসীম দাপটে বিশ্বের কাছে। আজ নবীন প্রজন্মের একটি বিরাট অংশ শান্তির পৃথিবী চেয়ে, সৃষ্টিশীলতার বিকাশ চেয়ে, হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাচ্ছে ঐক্যের পথে সমসুরে সুর বেঁধে। আজ অঙ্গীকার এসে ধরা দেয় জীবনের কাছে। তারুণ্যের অলিগলি ভরে ওঠে স্বপ্নের জোয়ারে শৈশবে মায়ের কাছ থেকে পাওয়া চুম্বনের মতো। ২১ শতকের বাঙালীর মনে প্রশ্ন জাগে, ’৭১-এ গণহত্যার মূল হোতা কে? ২৫ মার্চের কালরাতের নিরীহ বাঙালীর ওপর নারকীয় হত্যা কার সহায়তায় পরিচালিত হয়েছে? কেন ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধশূন্য সেনাবাহিনীতে পরিণত হয়েছিল? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেন বিকৃত হয়? কি লুকাতে গিয়ে এত ষড়যন্ত্র, এত লুকোচুরি: নানা প্রশ্ন জাগে। রাজাকারপর্ব প্রায় শেষের পথে। আজ সব প্রশ্নের জবাব এসে ধরা দেয় নিজ থেকে। এখনই সময় আলোর পথে পা বাড়াবার। মধ্যযুগ থেকে আলোর পথে প্রবেশ করার। আর রাস টেনে রাখা যাবে না বাঙালীর বাঙালিত্বকে, তার প্রকৃত আদর্শ থেকে। স্বাধীনতা বলতে যা বোঝায় তার নির্যাস থেকে। আমাদের সামষ্টিক ভাবনা আর স্বপ্নলোক থেকে হনন করতে পারবে না মুক্তির স্বাদ। মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতার ঐতিহাসিক স্তম্ভই বাঙালী জাতিসত্তার পরিচয়। স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে, সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করেই বাঙালীকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য বলতে যা কিছু সবই মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে। দীপ্তি ইসলাম ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা
×