ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাত ফুটবলারের শুনানি সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

সাত ফুটবলারের শুনানি সম্পন্ন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এখনই কিছু হবে না। ঘটনা ঘটতে সময় লাগবে আরও। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অভিযুক্ত সাত ফুটবলার দোষী, না নির্দোষÑ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামী ১ মার্চ। বৃহস্পতিবার ৭ ফুটবলার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যুক্তি পেশ বা আত্মপক্ষ সমর্থন করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে এসে। শুনানি কমিটিতে বাফুফের তিন উর্ধতন কর্মকর্তা বাদল রায়, আনোয়ারুল হক হেলাল এবং তাবিথ আউয়াল তাদের শুনানি করেন। সকাল ৯টা থেকেই পর্যায়ক্রমে সাত ফুটবলার বাফুফে ভবনে আসেন। তবে সংবাদকর্মীদের সামনে কেউ মুখ খোলেননি তারা। দুপুরে দ্বিতীয় তলায় বাফুফে সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কক্ষে পাওয়া যায় অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, জাহিদ হোসেন এবং গোলরক্ষক শহীদুল আলমকে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে এই তিন ফুটবলারকে তালাবদ্ধ করে রাখেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের একজন অফিস সহকারী (মামুন)। জাতীয় দলের অধিনায়কসহ সিনিয়র ফুটবলারদের এভাবে তালাবদ্ধ করে রাখা অপমানজনকই বটে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা। পরে একান্ত আলাপচারিতায় শুধু দুঃখপ্রকাশ করে মামুনুল বলেন, জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে সম্মান নিয়েই চলে যেতে চেয়েছিলেন। যে কারণে সাফ ফুটবল চলাকালীন সময়েই অধিনায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এরপর এক রকম জোর করেই আবারও তাকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অধিনায়কত্ব পালন করতে বলা হয়। এই টুর্নামেন্টে দলের এরপর বাজে ফলের জন্য তাকেসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে বাফুফের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। কিন্তু তার বিপক্ষে যতটা না অভিযোগ এসেছে তার থেকেও বেশি করেছে কিছু গণমাধ্যম। সাফ ফুটবলে হোটেলে তার রুমের দরজা সবসময় খোলাই থাকত বলে জানিয়েছেন মামুনুল। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, যদি ওই ধরনের কোন ঘটনা থাকত তাহলে টিমের সঙ্গে জড়িত কারও না কারও চোখে পড়ত। তার অপরাধটা কি সেটি জানতেই এবং বাফুফেতে না আসলে তার বিরুদ্ধে একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাই তিনি এসেছেন বলে জানান। যদিও মামুনুলদের জবানবন্দী নেয়া শেষে বাদল রায় জানান, এখনই তাদের শাস্তি বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তবে ৭ ফুটবলারের কয়েকজনের জবাব সন্তোষজনক নয়। তারা তাদের সুপারিশটা ন্যাশনাল টিমস কমিটির কাছে পাঠাবেন। এবং ১ অথবা ২ মার্চ টিমস কমিটির পরবর্তী সভায় এই ফুটবলারদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কিন্তু ফুটবলারদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে জবাব দেয়ার পূর্বেই দুপুর ১২টার দিকেই কোন একটি টেলিভিশন চ্যানেল মামুনুল এবং জাহিদের ছবি দিয়ে তারা উশৃঙ্খলতা এবং মদ্যপানের অভিযোগে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধÑ এ ধরণের একটি সংবাদ প্রচার করেছে বলে অভিযোগ করেন মামুনুল। যে কারণে পরিবারের কাছে হেয় হতে হয়েছে মামুনুলকে। একজন জাতীয় দলের ফুটবলারের বিষয়ে আনীত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ দুঃখজনকই বটে। মামুনুল অনুরোধ করে বলেন যেটা সত্য সেটিই যেন গণমাধ্যমে আসে। এর আগে বাফুফের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি জানিয়েছিল, শক্তিশালী কোন যুক্তি পেশ করতে পারলে এবারের মতো পার পাওয়া যাবে। এমনকি অভিযুক্তরা ফিরেও আসতে পারেন জাতীয় দলে। তবে দোষী প্রমাণিত হলে কোন ফুটবলারকেই বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবে না। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলবে বাফুফে। এখন দেখার বিষয়, শেষপর্যন্ত মামুনুলদের ভাগ্যে কি ঘটে।
×