ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব ব্যাংক আইনী সীমার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে সেগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ে মেয়াদ বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই এই সমন্বয়ের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও অর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ড. আসলাম আলম। মঙ্গলবার সচিবালয়ে এ সচিবের সঙ্গে সাক্ষাত করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোঃ ছায়েদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ। এ সময় তাদের এ সমন্বয়ের মেয়াদ বাড়ানোর কথা নিশ্চিত করেন ড. আসলাম আলম। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেসব ব্যাংক আইনী সীমার চেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে সেগুলোর বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ে মেয়াদ বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। বিএমবিএর সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। নির্দিষ্ট সময়ে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিদ্যমান ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসারে তফসিলি ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে নিজ নিজ রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। ২০১৩ সালে আইন সংশোধন করে এ সীমা বেঁধে দেয়া হয়। আর যাদের সীমার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে, তাদের তিন বছরের মধ্যে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয় করার সময় বেঁধে দেয়া হয় আইনে। এ অনুসারে চলতি বছরের ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয় করার কথা। কিন্তু সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতি অনুকূল নয় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো তাদের শেয়ার বিক্রি করে বিনিয়োগ সমন্বয় করতে পারছে না। এ সময়ের মধ্যে তারা শেয়ার বিক্রি করতে বাধ্য হলে বাজার পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। এ আতঙ্কে বাজারও গতিশীল হতে পারছে না। এমন বাস্তবতায় বেশ কিছুদিন ধরে সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন স্টক এক্সচেঞ্জ, বিএমবিএ নেতাসহ সংশ্লিষ্টরা। এসব বাস্তবতায় গত নবেম্বর মাসে সমন্বয়ের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
×