ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যাটলেটিকোর চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে কাতালানরা, মেসি-রোনাল্ডোর ১০০০ গোলের রেকর্ড

মেসি-সুয়ারেজের গোলে জয় বার্সিলোনার

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

মেসি-সুয়ারেজের  গোলে জয় বার্সিলোনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত দুই মৌসুমে লা লিগার শিরোপা ভাগ করে নেয় এ্যাটলটিকো মাদ্রিদ আর বার্সিলোনা। রিয়াল মাদ্রিদকে দূরে ঠেলে দিয়ে এবারও শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে সমানতালে এগোচ্ছে স্পেনের দুই জায়ান্ট ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকার লক্ষ্যেই শনিবার মাঠে নেমেছিল বার্সিলোনা-এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষ হিসেবে বর্তমানে লা লীগায় সবচেয়ে শক্তিশালী দল এ্যাটলেটিকো। যে কারণে ন্যুক্যাম্পের ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডিই হবে তা অনেকাংশে অনুমিতই ছিল। কিন্তু এ্যাটলেটিকোর দুই ফুটবলার লাল কার্ড পাওয়া ম্যাচে বার্সিলোনা সহজেই জয় পেয়েছে। নিজেদের মাঠ ন্যুক্যাম্পে লুইস এনরিকের দল এদিন ২-১ গোলে হারিয়েছে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সেই সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটাও সুসংহত করলেন মেসি-সুয়ারেজরা অথচ বার্সিলোনার বিপক্ষে কোকের গোলে ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল সফরকারীরা। তবে সমতায় ফিরতেও খুব বেশি সময় নেয়নি কাতালানরা। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটেই দারুণ এক গোল করে বার্সাকে সমতায় ফিরিয়ে ন্যুক্যাম্পের সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে ভাসার সুযোগ করে দেন লিওনেল মেসি। এরপরও থামেনি স্বাগতিকদের দাপট। ম্যাচের বয়স যখন ৩৮ মিনিট তখনই বার্সিলোনাকে এগিয়ে দেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেজ। স্বাগতিকদের মাঠে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়েই যেন খেই হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে অহেতুক ফাউল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ফিলিপ লুইস। এর ফলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ডিয়েগো সিমিওনের এ্যাটলেটিকো। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড পাওয়া মাঠ ছাড়তে হয় এ্যাটলেটিকোর আরেক তারকা ফুটবলার ডিয়েগো গোডিনকে। এর ফলে ৯ জনের এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে একের পর এক আক্রমণ করে যায় মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। কিন্তু বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরি করতে পারলেও বর্তমান বিশ্বের সেরা আক্রমণভাগ হিসেবে বিবেচিত এমএসএন কোন গোলের দেখা পায়নি। যে কারণে ২-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে গত মৌসুমের ট্রেবলজয়ী বার্সিলোনা। এই জয়ের ফলে এ্যাটলেটিকোর চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সিলোনা। তাছাড়া এ্যাটলেটিকোর চেয়ে ম্যাচও কম খেলেছে ১টি। আর তৃতীয় স্থানে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান দাঁড়াল ৭ পয়েন্ট। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই বার্সিলোনা আর এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই শিরোপা জয়ের জন্য এই তিন পয়েন্ট যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেটা স্বীকার করেছেন বার্সিলোনার কোচ লুইস এনরিকও। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে জিতে তিন পয়েন্ট লাভ করার গুরুত্বটা খুবই সুস্পষ্ট। তবে আমাদের এখনও আরও অনেক পথ যেতে হবে।’ এদিকে অন্যরকম এক কীর্তি গড়লেন লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ১০০০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বর্তমান বিশ্বের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবলার। জল্পনা-কল্পনা চলছিল ৯৯৯ থেকে মাইলফলকের গোলটি করবেন কে? মেসি নাকি রোনাল্ডো? অবশেষে লিওনেল মেসিই তা করে দেখালেন। এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে বার্সিলোনার জার্সিতে ১০০০তম গোল করলেন এলএম টেন। এর ফলে বর্তমানে মেসির গোল ৪৮২। এ জন্য তিনি খেলেছেন ৬১২ ম্যাচ। আর মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রোনাল্ডোর গোলসংখ্যা ৫১৮। সেজন্য সিআর সেভেনকে খেলতে হয়েছে ৬৫০ ম্যাচ। বার্সিলোনার জার্সিতে মেসির গোলসংখ্যা ৪৩৩। আর বাকি ৪৯ গোল আর্জেন্টিনার প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যদিকে জাতীয় দলের হয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর করা গোলসংখ্যা ৫৫। স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে করেছেন ৩৪০ গোল। তার আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের জায়ান্ট ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে ১১৮ গোল করেছিলেন সিআর সেভেন। তবে কোথায় থামবেন তারা? প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যেভাবে নিয়মিতই গোল করে যাচ্ছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই ফুটবলারÑ তার সঠিক উত্তর কেবল সময়েরই হাতে!
×