ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থ পাচারের তথ্য উদ্ঘাটনে তদন্তে এনবিআর

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৪ জানুয়ারি ২০১৬

অর্থ পাচারের তথ্য উদ্ঘাটনে তদন্তে এনবিআর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বড় অঙ্কের অর্থ পাচারের তথ্য উদ্ঘাটনে তদন্তে নেমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রাথমিকভাবে ব্যাংক, বহুজাতিক কোম্পানি ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ ১২ থেকে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের ১০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বিদেশে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এনবিআর। প্রতিষ্ঠানগুলোর এক দশকের বেশি সময়ের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ওই অর্থ পাচারের বিষয়টি নজরে আসে। ফলে প্রাথমিকভাবে অন্তত ডজনখানেক কোম্পানির লেনদেনের তথ্য নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। এর মধ্যে ব্যাংক, বহুজাতিক কোম্পানি ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব কোম্পানির গত এক দশকের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি কোম্পানির বড় অঙ্কের অর্থ পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে গোয়েন্দা শাখা। প্রাথমিকভাবে কেবল ১২টি কোম্পানির অর্থ পাচারের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ তালিকায় অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের নামও চলে আসছে। তদন্ত শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও এনবিআর সূত্র জানায়। জানা যায়, ইতোমধ্যে কিছু কোম্পানির লেনদেন বিশেষ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে। এসব কোম্পানির কোটি কোটি টাকা পাচারের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এ প্রক্রিয়ায় আর কারা অর্থ পাচার করেছে সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে। এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মঈনুল খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ডজনখানেক কোম্পানির অর্থ পাচারের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রাথমিকভাবে তদন্তের আওতায় আসা কোম্পানিগুলোর পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ ১০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে। কাঁচা পাট রফতানি বাড়লেও কমেছে পাটপণ্য অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জুলাই-ডিসেম্বরে কাঁচা পাট রফতানি বাড়লেও কমেছে পাটজাত পণ্য রফতানির পরিমাণ। এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে কাঁচা পাট রফতানিতে। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানিতে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৪২ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফিতানিতে আয় কমেছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থ বছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৪২ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
×