ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

তৌফিক অপু

কালারফুল লেদার জ্যাকেট

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ২২ জানুয়ারি ২০১৬

কালারফুল লেদার জ্যাকেট

নিজের মন, নিজের শরীর, এমনকি গঠন- বরণ সবই নিজের। তাই নিজের শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নিতে লেদার জ্যাকেটের বিকল্প হয় না বলে জানান-এ্যাড লিবে’র পোশাক ডিজাইনার জাহিদ হাসান। তিনি আরও বলেন, একজন তরুণ বা তরুণীর ব্যাক্তিসত্ত্বা বিকশিত হবে, যখন সে তাঁর শরীরের সঙ্গে মানিয়ে এই ধরনের পোশাক পড়বে। তাই লেদার জ্যাকেট, শীত কিংবা ফ্যাশন যে কোনভাবেই শরীর রাঙাতে প্রস্তুত, বলেন জাহিদ। বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের চলন-বলনের মধ্যে বৈচিত্র্যতা লক্ষ্য করা যায়। তারা চায় আধুনিকতায় সিক্ত হোক তাদের দৈনন্দিন জীবন। ছাপিয়ে যাক ফেলে আসা সব পুরনো দিন। ছেলেমেয়েরা পরিবর্তনের উৎস খুঁজতে থাকে বিভিন্নভাবে। আর এই উৎসগুলো সকাল থেকে রাত অবধি আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়। যে আলোচনা থাকে তার মধ্যে পোশাক থাকে শীর্ষ পর্যায়ে। কে কি ধরনের পোশাক-আশাক কিনবে। কতটুকু ফ্যাশনেবল হবে। আবার সেটা দিয়ে শীত দূর হবে কি-না এমন নানান বিষয়। স্বভাবত তারা ছেলেমেয়েরা এভাবেই তাদের ফ্যাশন চাহিদা বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। চলছে শীতকাল। ঘন কুয়াশা। সকাল-সন্ধ্যা চারদিকে ঘন কুয়াশায় আবৃত থাকে। ঠিক যেন গোধুলীর পড়ন্ত লগ্নে অন্ধকার নেমে আসছে। হীম বাতাস, কখনও ধীরগতি যেন লুক্কায়িত থাকে শীতের আঁচড়। যা মিন মিন করে টোকা দিতে থাকে সমস্ত শরীরে। কম্পিত হয় শরীর। ঠা-ায় কুঁচয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় মাথা থেকে পা পর্যন্ত। প্রয়োজন হয় কিছু বাড়তি কাপড়ের; যা দ্বারা নিবারণ হতে পারে কনকনে শীত। একেকজন একেক ধরনের শীত পোশাক বেছে নিতে থাকে তীব্র এই শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। যাবতীয় পোশাকের পাশাপাশি বাজারে পাওয়া যায় ফ্যাশন এবং শীতের পোশাক লেদার জ্যাকেট। যা তরুণদের ফ্যাশনেবল পোশাকের সঙ্গে শীতের জন্যই একটি আকর্ষণীয় পোশাক হিসেবে বাজারে স্থান করে নিয়েছে। এখন ছেলেমেয়েদের শরীরে জ্যাকেট দেখতে পাওয়া যায় সচরাচর। কিন্তু লেদার জ্যাকেট যেটি ফ্যাশনের সঙ্গে শীতের চাহিদা মেটাতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। আর দোকানিরাও তাদের দোকানগুলো সাজিয়েছে একেবারে নতুন ডিজাইনের লেদার জ্যাকেট দিয়ে। এগুলো খুব সহজেই আপনার শরীর-মনের সঙ্গে মানিয়ে পরতে পারবেন। বলা যায় ‘এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো’। সেই সঙ্গে গর্জিয়াস এই লেদার জ্যাকেট আলাদাভাবে নিজেকে তৈরি করে তুলবে। দেখতেও অন্যের চেয়ে বাড়তি লুক দেখা যাবে খুব সহজেই। এমন চিন্তাপ্রিয় তরুণ-তরুণী হরহামেশাই দেখা যায়। এসব চিন্তাপ্রিয় বা ফ্যাশনপ্রিয় ছেলেমেয়ে এবার এই শীতে একই ধরনের ব্লেজার বা জ্যাকেট পাবে; যা পাশে থাকা বন্ধুর ফ্যাশনে থাকলেও খারাপ লাগবে না। বরং আপনার মন আরো বিকশিত হতে পারবে। কারণ বাজারের এই ব্যতিক্রমী জ্যাকেটটি শীতের প্রয়োজন মেটাতে মিল-অমিল থাকলেও একে অন্যের সঙ্গে খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারে। ফ্যাশন ডিজাইনার জাহিদ আরো বলেন- এই শীতে তরুণদের কথা চিন্তা করে আমাদের ফ্যাশন বাজারে সম্পূর্ণ নতুন প্যাটার্নের লেদার জ্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে। অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং বাহারি ডিজাইনসমৃদ্ধ। জ্যাকেটগুলো ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য আলাদাভাবে তৈরি। চীন এবং থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা হয়। বিভিন্ন রঙের সমন্বয়ে আচ্ছাদিত এই জ্যাকেট শীত নিবারণ ছাড়াও যে কোন ধরনের অনুষ্ঠানে ব্যবহার উপযোগী। সেই সঙ্গে বাড়তি ইমেজ সৃষ্টি করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন ডে-ওয়ানের সিনিয়র সেলস্ ম্যানেজার ওয়াহিদ। জ্যাকেটগুলো চেক, স্ট্রাইপ এবং এক কালারের মধ্যে হয়ে থাকে। এগুলো আবার পাতলা/মোটা, হার্ড এবং সফটনেস। কেনার সময় অবশ্যই ক্রেতার বাজেট এবং চাহিদার ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে। কিছু জ্যাকেট আছে যেগুলো লেদার মনে হলেও র‌্যাকসিনের তৈরি। এগুলো তুলনামূলক দাম কম পড়বে। খুব বেশিদিন টেকসই হবে না। তাই ক্রেতার মাথায় রাখা জরুরীÑকোন্টি লেদার আর কোন্টি র‌্যাকসিনের তৈরি। প্রচলিত ডিজাইনের ধারা অব্যাহত রেখে নতুন আঙ্গিকে বাজারে এসেছে ব্লেজার কাম-জ্যাকেট। আলাদা ডিজাইন অর্থাৎ হুড লাগানো থাকে। কেউ ইচ্ছা করলে হুডসহ জ্যাকেটটি কিনতে পারেন। প্রয়োজন ফুরালে বা ইচ্ছা করলে চেন লাগানো হুডটি খুলে রাখতে পারেন। তাতে আপনার জ্যাকেটের সৌন্দর্যের কোন ঘাটতি হবে না। মানের দিক থেকে গর্জিয়াস ডিজাইনের জ্যাকেট ৪-৫টির মধ্যে পাওয়া যাবে। একটু নরমাল ডিজাইন ১৫-২০টির মধ্যে এখন বাজারে পাওয়া যায়। যারা নরমাল জ্যাকেট সংগ্রহ করতে চান তাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এ জাতীয় জ্যাকেটের ফাইবার থেকে খুব সহজেই সৌন্দর্য্য হ্রাস পেতে পারে। এদিকটায় বাড়তি নজর দেয়াই ভাল। এছাড়াও গত তিন-চার বছর আগে আরও একটি জ্যাকেট বাজারে এসেছে যা আজও রুচিসম্মত এবং ফ্যাশনপ্রিয় ছেলে এবং মেয়ের ব্যবহার উপযোগী। ভারত, চীন থেকে বাংলাদেশে আসে। জ্যাকেটটি গত চার বছর আগেই শীতের উষ্ণতার সঙ্গে বাড়তি ফ্যাশন হিসেবে তরুণদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ কটন এবং সিনথেটিক্সেরে ওপর তৈরি। ভেতরের দিকে হাল্কা মখমলের ব্যবহার করা হয়। ফলে শীতের প্রকোপ থেকে খুব সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। কালার কম্বিনেশনের ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছামতো বাছাই করা যেতে পারে। এ্যাশ, বেগুনি, মেরুন ও মিশ্রণসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। এটি পার্টি বা বন্ধুদের আড্ডায় মানানসই। কোথায় পাওয়া যাবে লেদার জ্যাকেট। ব্যস্ত এই শহরের অভিজাত শপিং মল যেমনÑবসুন্ধরা শপিং সেন্টার, মেট্রো শপিংমল, রাইফেলস স্কয়ার, ইস্টার্ন প্লাজা, রাপা প্লাজা, ইস্টার্ন পয়েন্ট শপিং সেন্টার, মৌচাক সুপার মার্কেট, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট থেকে এগুলো ক্রয় করা যেতে পারে। দাম-এগুলো আপনি যেখানেই কিনতে যাবেন সেখানেই একই দাম আপনাকে দিতে হবে। নরমাল জ্যাকেটের দাম পড়বে ৩,৫০০ টাকা। গর্জিয়াস বা ভাল মানের জ্যাকেটের দাম পড়বে ৭,৫০০ টাকা পর্যন্ত। ছবি : আরিফ আহমেদ মডেল : মাহি, ইমন, আবির ও বারবি
×