ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলাম তারিক

মানিক- মাঠের সৈনিক

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৩ জানুয়ারি ২০১৬

মানিক- মাঠের সৈনিক

যুদ্ধের ময়দানে সৈনিক যুদ্ধ করে, যুদ্ধ পরিচলনা করেন একজন, তেমনি ফুটবল মাঠে ফুটবল যুদ্ধে অবতীর্ণ হন খেলোয়াড়রা আর সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে যিনি দিক নির্দেশনা দেন তিনি দলের প্রশিক্ষক। মাঠের খেলোয়াড় যখন খেলা শেষে প্রশিক্ষকের ভূমিকায় থাকেন তখন কিভাবে খেলোয়াড়ের কাছ থেকে খেলা আদায় করতে হবে সেটা তার ভালই জানা থাকে। বাংলাদেশ ফুটবলে সফলতার সঙ্গে রাইট ব্যাক পজিশনে খেলে যাওয়া একজন খেলোয়াড় যিনি পরবর্তীতে সফলতার সঙ্গে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং পেয়েছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। রক্ষণভাগ থেকে বল নিয়ে অভারলেপ করে বিপক্ষ সীমানায় ঢুকে ডি বক্সে ক্রস করতে যার জুড়ি মেলা ভার ছিল তিনি আমাদের প্রিয় ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক। জন্ম ২২ অক্টোবর ১৯৬৭ ঢাকার সূত্রাপুর। সেখানেই বাল্যকাল থেকে এ পর্যন্ত। তৃতীয় শ্রেণীতে সরাসরি ধানম-ি স্কুলে পড়াশোনা শুরু। তারপর তেজগাঁও কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। খেলাধুলা স্কুল পর্যায় থেকেই শুরু। নিচের ক্লাসে কোন স্কুলে ভর্তি না হয়ে যেমন সরাসরি তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়ন শুরু করেছিলেন ঠিক তেমনি তৃতীয় কিংবা দ্বিতীয় বিভাগে না খেলে ১৯৭৯ সালে সরাসরি ব্রাদার্স ইউনিয়নে প্রথম বিভাগে নাম লেখান। ডান হাতে সাদা ব্যান্ড মাথা ভর্তি চুল হাওয়ায় ভাসিয়ে যখন অভারলেপ করতেন তখন সমর্থকরা তার গতি দেখে অভিভূত হতেন। ফুটবলের অনুপ্রেরণাকারী তেমন কেউ না থাকলেও খেলার পরিপূর্ণতা যার হাত ধরে এসেছে সে ক্ষেত্রে তিনি শ্রদ্ধেয় প্রশিক্ষক আলী ইমামের নাম উল্লেখ করেন। ১৯৭৯ সালে ব্রাদার্সে যোগ দিয়েই খেলোয়াড় তৈরির কারিগর আলী ইমামের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন। ফুটবলের নাড়ি নক্ষত্র সব কিছুকেই হাতের মুঠোই করার সুযোগ হয়ে যায়। ’৭৯ থেকে ৮৫ পর্যন্ত কমলা রঙের জার্সি পরেই মাঠে নামতেন। তারপর আলী ইমাম ১৯৮৬ সালে সাদাকালো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে যোগ দিলে অনেকটা গুরুর টানেই পাড়ি জমান সাদা-কালো শিবিরে। সেই ১৯৮৬ সাল থেকে খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মোহামেডানেই ছিলেন। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় মাঠে কাটিয়েছেন একজন সফল খেলোয়াড় হিসেবে। সাফল্য-ব্যর্থতা দুই আছে তার খেলোয়াড়ি জীবনে। ব্রাদার্সের হয়ে ১৯৮১ সালে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংক ক্লাবের সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ পাওয়া মানিকের খেলোয়াড়ি জীবনের অন্যতম স্মরণীয় ঘটনা। ফুটবলের কোন ঘটনা এখনও যন্ত্রণা দেয়? এই প্রশ্নের জবাবে মানিক জানান, ১৯৮৫ সালে ব্রাদার্স-আবাহনী ম্যাচের ঘটনা। আমি তখন ব্রাদার্সের অধিনায়ক। আমরা ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন। সেখানে ২-০ গোলের লিড থাকার পরও আমরা ম্যাচটা ৩-২ গোলে হেরে যাই। ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর আযমতের একটা ভুলের কারণে এফ আই কামাল অনেক দূর থেকে গোল করেন। তাছাড়া ওয়াসিমের একটা দুর্দান্ত মিস আর আহত থাকায় লিটনের ১০ মিনিট মাঠের বাইরে থাকা এবং রেফারি রশিদের পক্ষপাতমূলক আচরণ আমাদের হারতে বাধ্য করে। তা না হলে আমরা তৃতীয় শক্তি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো মাঠে ব্রাদার্সের পতাকা উড়াতে পারতাম তবে সবই খেলার অংশ। সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ হলে আজও মনটা নাড়া দিয়ে উঠে। আমার কাছে একটা বিষয় খুব ভাল লেগেছে যে, সেই ৮৫ সালের ঘটনা ফুটবল সমর্থকরা এখনও মনে রেখেছেন। তখনকার ফুটবলের উন্মাদনা ছিল বলেই আজও সমর্থকরা এসব মনে রেখেছেন। মানিক ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে খেলেছেন। ১৯৯৫ সালে মোহামেডান থেকে খেলা শেষ করেন অনেকটা নীরবেই। ’৯৬ সালে যোগ দেন ট্রেইনার হিসেবে মোহামেডানেই। তখন মোহামেডানের মূল প্রশিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন ম্যান ইয়াং ক্যাং। ওই বছর চ্যাম্পিয়ন হয় মোহামেডান। ’৯৭-৯৮ সালের লীগে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন মুক্তিযোদ্ধায়। মানিক জানান, খুব চেলেঞ্জিং বছর ছিল ১৯৯৭-৯৮। মুক্তিযদ্ধার কোচ হয়েই কপালে রাজটিকার প্রলেপ আঁকেন। প্রফেশনাল কোচিংয়ে প্রথম সাফল্য। তিনি জানান আবাহনী-মোহামেডানকে পেছনে ফেলে তৃতীয় শক্তির একটা দলকে লীগ চ্যাম্পিয়ন করানোর স্বাদ তার দীর্ঘদিন মনে থাকবে। যদিও কাজটা খুব কঠিন ছিল কিন্তু খেলোয়াড়দের ঐকান্তিক চেষ্টার ফসল ছিল সেটা। ওই বছর ম্যাক ডুয়েল কাপ, মহানগরীয় কাপ চ্যাম্পিয়ন এবং ভারতের একটা টুর্নামেন্টে রানার্স আপ হয় মানিকের প্রশিক্ষণেই মুক্তিযোদ্ধা। ২০০৫ সালে ঢাকা মোহামেডানের প্রশিক্ষক হিসেবে নিটোল টাটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তাছাড়া এককভাবে ২০০৮ সালে এবং ২০০৯ সালে বিদেশী কোচ ডিডোর সঙ্গে জাতীয় দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে অনুর্ধ ১৪, ১৬ এবং ১৯ দলের প্রশিক্ষকের দায়িত্বও পালন করেন। গত বছরের শেষ দিকে চট্টগ্রামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টে তিনি চিটাগাং আবাহনীর প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। টুর্নামেন্টের প্রতিটা খেলাতেই চমৎকার নৈপুণ্য প্রদর্শন করে এবং ফাইনালে ঐতিহ্যবাহী কলকাতা ইস্টবেঙ্গলকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় মানিকের শিষ্যরা। মানিক আগাখান আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলে ব্রাদার্সের খেলোয়াড় হিসেবে এবং শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলে চিটাগাং আবাহনীর প্রশিক্ষক হিসেবে চ্যাম্পিয়নের স্বাদ গ্রহণ করেন। ফুটবল এত জনপ্রিয় অথচ বাংলাদেশের সমর্থকরা কেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন? এ প্রসঙ্গে মানিক বলেন, মোটেও তা নয়। তিনি উল্লেখ করেন শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের কথা । প্রতিটা খেলায় দর্শকদের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের মানুষ আজও ফুটবলকে ভালবাসে। প্রয়োজন শুধু ফুটবলের যথাযথ পরিচর্যা। আর ফুটবলের যথাযথ পরিচর্যা হলে ফুটবলের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে মানিক দর্শকদের বিষয়ে আর একটি বিষয় উল্লখ করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশের সমর্থকরা এখনও দুটি ভাগে বিভিক্ত। সেটা মোহামেডান এবং আবাহনী। সমর্থকরা ফুটবলের প্রাণ। আগে এই দুই দলের খেলা হলে স্টেডিয়ামে তিল ধারণের যায়গা থাকত না। হাটে বাজারে বাসার ছাদে সব জায়গাতেই পতাকা লাগানোর হিড়িক পড়ে যেত। এখন উল্টো চিত্র। সে ক্ষেত্রে এখন এই দুই দলের সমর্থকদের এগিয়ে আসতে হবে। নিজ দলের খেলার দিন আগের মতো হাটে বাজারে কিংবা বাসার ছাদে পতাকা উড়ানো থেকে শুরু করে দল বেঁধে মাঠে এসে খেলা দেখতে হবে। আশা করি একটা বছর এই দুই দলের সমর্থকরা একটু কষ্ট করে এই দায়িত্বগুলো পালন করলে ফুটবলের জাগরণে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। তবে অবশ্যই এই দুটি দলকে মান সম্মত খেলোয়াড় এনে দল গঠন করতে হবে। পাশাপাশি শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলেরও নিজস্ব সমর্থক তৈরি হয়ে যাবে। সমর্থকদের বিষয়ে ১৯৮৭ সালের একটা খেলার কথা তুলে ধরেন মানিক। মোহামেডান বনাম বিআরটিসির খেলা। মোহামেডান ৪-২ গোলে জয়লাভ করার পর যখন খেলোয়াড়রা ক্লাবে ফিরছেন তখন সমর্থকরা চড়াও হয় মোহামেডানের খেলোয়াড়দের ওপর। কেন দুই গোল খাইলাম। গালাগালি তো চলছেই। ওই সময় সমর্থকদের ক্রেজিনেসটা চিন্তা করেন। সমর্থকদেরও একটা চাপ থাকত খেলোয়াড়দের ওপর। যার কারণে খেলোয়াড়রা সব সময় ভালো খেলার চেষ্টা করত। আর এখন তো হারলেও গালাগালি করে না। মাঠে রাইট ব্যাক পজিশনে খেলার সময় কোন খেলোয়াড়কে সমীহ করতেন? হাসি দিয়ে মানিক জানান, নিঃসন্দেহে আশরাফ উদ্দিন চুন্নু। শৈল্পিক ফুটবলার বলতে যা বুঝায় চুন্নুর মাঝে তার সব গুণাবলীই ছিল। সাপের মতো এঁকেবেঁকে খেলোয়াড়দের ইনসাইড আউটসাইড ডজ দিয়ে বিপক্ষ সীমানায় ঢুকে যেত মুহূর্তেই। সব ডিফেন্ডাররা একটা আতঙ্কের মধ্যে সময় পার করত। বিশেষ করে জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়কে ডজ দিতে পারদর্শী ছিলেন। কার খেলা আপনাকে আকৃষ্ট করত? মানিক বলেন, দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল ও কাজী সালাহউদ্দিনের আমি ফ্যান ছিলাম। তিনি জানান টুটুলের অ্যাটাকিং রাইট ব্যাক হিসেবে বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা, যথাযথ স্থানে বল বিতরণ, আদান-প্রদান, লম্বা সরু, ক্লোজ মার্কিং সেন্স, টেম্পারামেন্ট, গ্রাউন্ড টাসল, পজিশন জ্ঞানের কোন কমতি ছিল না। তবে তাঁর স্টেপিং ছিল প্রতিপক্ষের জন্য ভীতিকর। তার ফুটবলের গতি আর ছন্দ দিয়ে সে সময়ের তরুণদের কাছে ক্রেজে পরিণত হন। আর সালাহ উদ্দিন ছিলেন একজন দক্ষ স্ট্রাইকার। এই স্ট্রাইকারের পায়ে বল আসার সঙ্গে সঙ্গেই হরিণের মতো বিস্ময়করভাবে লাফিয়ে উঠে যেভাবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়েছেন। তাতে বুঝে নিতে কষ্ট হয়নি যে তিনি একজন সহজাত ফুটবলার। তাছাড়া মাঠে তাঁর উপস্থিতিই পাল্টে দিত খেলার দৃশ্যপট। মেধাবী এই ফুটবলারের পায়ে যে ফুটবল-শিল্প ঝিলিক দিয়ে উঠত, তাতে বুঝিয়ে দিতেন তিনিই মাঠের রাজা। কোচিং ক্যারিয়ারে বা ফুটবলার হিসেবে কোন কষ্ট আছে কি না জানতে চাইলে মানিক জানান, ২০১১ সালে সুপার কাপে তিনি মোহামেডানের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। মোহামেডান ফাইনালে আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরে চ্যাম্পিয়নশিপ হারায়। একটা পর্যায়ে মোহামেডান ২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও ম্যাচটা হেরে যায়। হারের কারণ হিসেবে মোহামেডানের নাইজিরিয়ান গোলরক্ষক আব্দুল্লার সন্দেহজনক আচরণের কথা উল্লেখ করেন। কোচিং ক্যারিয়ারে এই বেদনার কথা তিনি কখনই ভুলবেন না বলে জানান। ফুটবলার ছাড়াও সমর্থকরা আপনাকে আর একটি নামে ডাকত? মানিক জানান হ্যা সেটা ডাকসু মানিক। আমি ১৯৮৮-৮৯ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ডাকসু নির্বাচন করে জয়লাভ করি আমার আরেক ফুটবলার বন্ধু কায়সার হামিদের বিরুদ্ধে। সেটা অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী ছিল না। মানিক ছোট বেলায় ঢাকা আবাহনীর সমর্থক ছিলেন কিন্তু আবাহনীতে খেলা হয়নি কখনই। তবে তিনি দীর্ঘ সময় খেলেছেন ব্রাদার্স এবং ঢাকা মোহামেডানে। বর্তমানে তিনি মোহামেডানের স্থায়ী সদস্য। আর চিটাগাং আবাহনীর প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। মানিক এ লাইসেন্স ধারি ফুটবল কোচ। তা ছাড়া ব্রাজিল থেকে ফুটবল কোচিংয়ের উপর ডিপ্লোমা করেছেন। মানিকের বাবা মরহুম মইদর আলী, মা মোমেনা খাতুন। ৫ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি ৪র্থ। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ২০০৯ সালে। খেলোয়াড় হিসেবে যেমন পেয়েছেন অনেক সাফল্য তেমনি প্রশিক্ষক হিসেবেও বর্তমানে খ্যাতির শীর্ষে। বর্তমান সময়ে শূন্য গ্যালারী, নিষ্প্রাণ খেলায় মোটেও হতাশ হন না মানিক। তিনি মনে করেন সঠিক পরিচর্যায় দেশের ফুটবলের জাগরণের মাধ্যমে ফুটবল তার হারানো জৌলুশ একদিন ফিরে পাবে। সব দুরাশা কাটিয়ে পূর্ব আকাশে উদিত হবে ফুটবলের নতুন সূর্য। দৈনিক জনকণ্ঠ আপনাদের মতো সাবেকদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি? এ প্রসঙ্গে মানিক বলেন, আমরা সাবেকরা যারা এখনও ফুটবলের জন্য কাজ করছি তাদেরকে হয়তোবা অনেকেই জানেন এবং চিনেন। তবে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা আস্তে আস্তে সমর্থকদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাদের অনেক কন্ট্রিবিউট আছে দল এবং দেশের ফুটবলের জন্য। জনকণ্ঠ নতুন করে তাদেরকে তুলে ধরছে সমর্থকদের সামনে। শুধু তাই নয়, নতুন প্রজন্মও সেই সময়কার খেলোয়াড় এবং ফুটবলের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে। এজন্য জনকণ্ঠ অবশ্যই সাধুবাদ পেতে পারে।
×