ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

হাটরে কনোবচোয় ধস, বন্ধ হচ্ছে তাঁত, শ্রমকিরা হচ্ছনে বকোর

শাহজাদপুররে ঐতহ্যিবাহী তাঁতশল্পি ধ্বংসরে পথে

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

শাহজাদপুররে ঐতহ্যিবাহী তাঁতশল্পি ধ্বংসরে পথে

সংবাদদাতা, শাহজাদপুর, সরিাজগঞ্জ ॥ তীব্র শীত, কুয়াশা আর র্আথকি সঙ্কটরে কারণে শাহজাদপুরসহ পাবনা-সরিাজগঞ্জরে তাঁতরিা স্বাভাবকিভাবে হ্যান্ড থাইজংি (সূতা প্রক্রয়িাকরণ) করতে পারছনে না। ফলে দশেরে তাঁতশল্পিরে কন্দ্রেবন্দিু শাহজাদপুর, সরিাজগঞ্জ ও পাবনা জলোর ঐতহ্যিবাহী তাঁতশল্পিরে সঙ্গে সম্পৃক্তদরে শতশত কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছ।ে শীত আর ঘন কুয়াশায় তাঁতবস্ত্র উৎপাদনরে প্রধান উপকরণ সূতা প্রক্রয়িাজাতকরণ থকেে শুরু করে তাঁতবস্ত্র উৎপাদন করে কাপড়রে হাটে পৗেঁছানো র্পযন্ত সকল র্কাযক্রম স্থবরি হয়ে পড়ছে।ে যসেব তাঁতরে তনো নমেে যাচ্ছ,ে সসেব তাঁতে পুনরায় তনো দয়ো সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে তাঁতসমৃদ্ধ এ অঞ্চলরে তাঁতপল্লীতে একরে পর এক তাঁত বন্ধ হয়ে যাচ্ছ।ে এতে একদকিে পাবনা-সরিাজগঞ্জ জলোর যমেন অসংখ্য তাঁত শ্রমকিদরে বকোর বসে থাকতে হচ্ছ,ে অন্যদকিে উৎপাদতি তাঁতবস্ত্র বক্রিয়ে ধস নামায় তাঁতসমৃদ্ধ এ জনপদরে লাখ লাখ তাঁতি পড়ছেনে মহাবপিাক।ে শুক্রবার উত্তরাঞ্চলরে র্সববৃহৎ শাহজাদপুর কাপড়রে হাট পরর্দিশনকালে বশে কয়কেজন তাঁতি জানান, দশেীয় উৎপাদতি তাঁতরে কাপড়, লুঙ্গী, গামছাসহ দশেীয় তাঁতবস্ত্ররে সংিহভাগই উৎপাদতি হয় শাহজাদপুরসহ সরিাজগঞ্জ ও পাবনা জলোয়। তাঁতরিা শাহজাদপুর কাপড়রে হাটে তাদরে উৎপাদতি তাঁতবস্ত্র বক্রিি করতে না পারলে একদকিে যমেন শ্রমকিরে বলি দতিে তাদরে অর্বণনীয় কষ্ট পোহাতে হয়, অন্যদকিে নতুন করে তাঁতবস্ত্র উৎপাদনরে সকল প্রকার কাঁচামাল ক্রয় করতে তাঁতরিা র্ব্যথ হন। ফলে শীতজনতি কারণে শাহজাদপুরসহ সরিাজগঞ্জ ও পাবনা জলোর তাঁতপল্লীর যসেব তাঁতরে তনো নমেে গছে,ে পুঁজরি অভাবে সইে তাঁতে নতুন করে তনো দয়ো তাঁতদিরে পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। এর ক্ষতকির প্রভাব তাঁত শ্রমকিদরে ওপর পরলিক্ষতি হচ্ছ।ে শুধু শাহজাদপুরইে র্অধ লক্ষাধকি তাঁত শ্রমকিরে মানবতের দনিযাপন করতে হচ্ছ।ে অনকেইে বাপ-দাদার আমল থকেে চলে আসা ঐতহ্যিবাহী এ পশো পরর্বিতন করে জীবন-জীবকিার তাগদিে অন্য পশোয় নযিুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছনে। একই সঙ্গে প্রান্তকি তাঁতরিা বভিন্নি তপসীল ব্যাংক থকেে সহজর্শতে ঋণপ্রাপ্তরি জন্য দনিরে পর দনি ধরনা দয়িওে ঋণ সুবধিা পাচ্ছনে না। ফলে পুঁজি সঙ্কটে পড়ে তাদরে তাঁত কারখানা ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দতিে বাধ্য হচ্ছনে। প্রান্তকি তাঁতরিা জানয়িছেনে, দশেরে তাঁতবস্ত্র বপিণন কন্দ্রেরে অন্যতম শাহজাদপুর কাপড়রে হাটে প্রতি সপ্তাহরে দুই দনি রববিার ও বুধবার দশেরে প্রায় প্রত্যকে জলো ও অসংখ্য উপজলো থকেে এবং ভারতরে কলকাতাসহ বভিন্নি প্রদশে থকেে হাজার হাজার পাইকার ও ব্যাপারীরা শাহজাদপুর কাপড়রে হাটে আসনে তাঁতবস্ত্র ক্রয় করার জন্য। র্বতমানে সে অবস্থারও চরম অবনতি ঘটছে।ে হাতগেোনা ব্যাপারী পাইকাররা হাটে আসছনে। ফলে প্রতি সপ্তাহে শতশত কোটি টাকার কাপড় অবক্রিীত অবস্থায় রয়ইে যাচ্ছ।ে এতে তাঁতীরা পড়ছেনে মহাবপিাক।ে এ কারণে তাঁতসমৃদ্ধ এ জনপদে উৎপাদতি লাখ লাখ জোড়া কাপড় বক্রিি না হওয়ায় ব্যাংক, এনজওি, সুদখকেো মহাজনদরে কস্তিি দতিে ও তাঁত শ্রমকিদরে মজুরি দতিে মহাজনরা হমিশমি খাচ্ছনে। এছাড়া বভিন্নি এনজওি ও ব্যাংক থকেে নয়ো ঋণরে কস্তিি পরশিোধ করতে গয়িে রীতমিতো তারা দশিহোরা হয়ে পড়ছেনে। এছাড়া ভারত থকেে চোরাইপথে আনা ভারতীয় নম্নিমানরে সস্তা শাড়ি শাহজাদপুর কাপড়রে হাটে অবাধে বক্রিি হওয়ায় স্থানীয়ভাবে তাঁতশল্পিে উৎপাদতি উন্নতমানরে শাড়ি বক্রিরি ওপর মারাত্মক ক্ষতকির প্রভাব পড়ছে।ে বাংলাদশে স্পশোলাইজ্ড টক্সেটাইল মলিস্ এ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রজি এ্যাসসেয়িশেনরে পরচিালক ও বাংলাদশে হ্যান্ডলুম এ্যান্ড পাওয়ারলুম ওর্নাস এ্যাসসেয়িশেন কন্দ্রেীয় কমটিরি সহসভাপতি হায়দার আলী জানয়িছেনে, দশেীয় তাঁতশল্পিরে অন্যতম বৃহৎ বাজার র্পাশ্বর্বতী দশে ভারত। ৬ মাস র্পূবওে শাহজাদপুর কাপড়রে হাট থকেে ভারতে প্রতি হাটে বপিুল পরমিাণ দশেীয় তাঁতবস্ত্র রফতানি হতো। কন্তিু মুদ্রামান বষৈম্য, লটোর অব ক্রডেটিসহ বদ্যিমান বশেকছিু জটলিতাজনতি কারণে গত ৬ মাস ধরে ভারতে উল্লখেযোগ্য তাঁতবস্ত্র রফতানি না হওয়ায় ঐতহ্যিবাহী তাঁতশল্পি ভয়াবহ হুমকতিে পড়ছে।ে এরপরও ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো র্বতমানে তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় তাঁতবস্ত্র উৎপাদনরে মাত্রা বহুলাংশে হ্রাস পয়েছে।ে কাপড়রে হাটে তাঁতবস্ত্র বক্রিতিে ধস আর হ্যান্ড থাইজংি করতে না পারায় র্বতমানে তাঁতরিা মহাবপিাকে পড়ছেনে। এসব কারণে পাবনা ও সরিাজগঞ্জরে তাঁতরিা অনকে পছিয়িে পড়ছেনে। পাওয়ারলুমে খুব দ্রুত তাঁতবস্ত্র উৎপাদতি হওয়ায় পরর্বতীতে পুঁজরি অভাবে পুনরায় এই পাওয়ারলুমগুলো তাঁতবস্ত্র উৎপাদনে যতেে পারছে না। আবার যে পরমিাণ তাঁতবস্ত্র উৎপাদতি হচ্ছে তাও অবক্রিীত অবস্থায় রয়ে যাচ্ছ।ে ফলে শাহজাদপুরসহ পাবনা সরিাজগঞ্জরে তাঁতদিরে ভাগ্যাকাশে বরিাজ করছে মহার্দুযােগরে ঘনঘটা। চলমান দুরবস্থা নরিসনে তনিি অবলিম্বে ভারতে তাঁতবস্ত্র রফতানরি ক্ষত্রেে বরিাজমান সকল প্রতবিন্ধকতা দূরীকরণে সরকাররে আশু হস্তক্ষপে কামনা করছেনে এবং তাঁতদিরে মধ্যে সহজর্শতে ঋণদানরে দাবি জানয়িছেনে। শাহজাদপুর কাপড়রে হাট পরর্দিশনকালে লালময়িা সুপার র্মাকটেরে আকন্দ টক্সেটাইলরে স্বত্বাধকিারী লটিন আকন্দরে সঙ্গে আলাপকালে তনিি জানয়িছেনে, ‘দনিরে পর দনি তাঁতদিরে ক্রমর্বধমান অর্বণনীয় ক্ষয়ক্ষতি বড়েইে চলছে।ে বগিত বছররে এ সময়ে বচোবক্রিরি হার যমেন দখো গছে,ে এবার শাহজাদপুর কাপড়রে হাটরে বচোবক্রিি অতীতরে সকল বছরকে হার মানয়িে র্সবনম্নি র্পযায়ে পৗেঁছছে।ে শাহজাদপুর কাপড়রে হাটে বশেরিভাগ প্রান্তকি তাঁতি গত কয়কে হাটে তাঁতবস্ত্র বক্রিি করতে এসে এক জোড়া কাপড়ও বক্রিি করতে পারনেন।ি এভাবে চলতে থাকলে তাঁতরিা অচরিইে পথে বসে যাবনে।
×