
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকার ২১টি স্বর্ণের বারসহ মো. আবদিন মিয়া নামের এক যুবককে আটক করেছে ৬ বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের পাশে খাদ থেকে ৯টি এবং আসামিকে আটকের সময় আরও ১২টি বার জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি)। মো. আবদিন জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মো. আনার আলীর ছেলে।
বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হাসান বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ পাচার হবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার ও সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলীর নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল ইশ্বরচন্দ্রপুর রাস্তার পার্শ্বে এ্যাম্বুশ করে।
বিজিবি আরও জানায়, দুপুর ১২টার দিকে আভিযানিক দল একটি মোটরসাইকেলে দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাদের থামার সংকেত দেন। এসময় মোটরসাইকেল আরোহীদের একজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। তবে আরেকজন পাশের একটি ছোট পুকুরে লাফ দেন। পরে টহলদল পানিতে নেমে তাকে আটক করে। এ সময় আটক মো. আবদিনের হেফাজতে থাকা একটি প্যাকেট সদৃশ বস্তু পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেয়। আর বিজিবি আভিযানিক দল তার দেহ তল্লাশি করে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো একটি প্যাকেট উদ্ধার করে। পরে বিজিবি আভিযানিক দলের সদস্যরা পুকুর থেকে ফেলে দেওয়া অপর প্যাকেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত দুটি প্যাকেট থেকে ২১টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। এছাড়া দুটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২০২ টাকা জব্দ করা হয়।
বিজিবি জানায়, স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ২ কেজি ৪৪৯ গ্রাম। জব্দকৃত স্বর্ণ এবং মোবাইলের সিজার মূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার ৮৯০ টাকা। এ ঘটনায় নায়েক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করে তাকে হস্তান্তর করেছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারসমূহ চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
রাজু