
সিলেটের জকিগঞ্জে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সুজিয়া বেগম সাজন (৩৩) উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের মাইজগ্রামের দুবাইপ্রবাসী মোখতার হোসেনের স্ত্রী এবং বিশ্বনাথ উপজেলার রশীদপুর গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে।
বুধবার সকালে পরিবারের লোকজন সুজিয়া বেগম সাজনের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানান। জকিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সুজন মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে লাশ মর্গে পাঠায়।
সুজিয়া বেগমের স্বামীর পরিবারের লোকজন জানান, বুধবার সকালে একটি কক্ষে সুজিয়া বেগমের গলাকাটা অবস্থায় রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান তার দেবর ও খালা শাশুড়ি। এরপর তারা চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে পুলিশকে খবর দেন। ঘটনার সময় বাড়িতে সুজিয়ার দেবর ও খালা শাশুড়ি ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
পাশের বাড়ির বাসিন্দা এবং সুজিয়ার ননদের ছেলে আব্দুল্লাহ জানান, ১০-১১ বছর আগে মোখতার হোসেনের সঙ্গে সুজিয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর এ দম্পতির একটি সন্তান জন্ম নিয়ে মারা গেলে সুজিয়া বেগম মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানান, পরিবারের লোকজন সুজিয়া বেগমকে মানসিক ভারসাম্যহীন বললেও আসলে তিনি ছিলেন সুস্থ। মঙ্গলবার তিনি স্থানীয় গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফেরেন। তারা মনে করছেন, পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করলে এই ঘটনার পেছনে কোনো রহস্য থাকলে তা উদঘাটিত হবে।
জকিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সুজন মিয়া বলেন, “একজন প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।”
সজিব