ছবি: জনকণ্ঠ
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অনুষ্ঠিত তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকরা বলেন, শুধু আইন নয়, জনসম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বাড়লেই তামাক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিবর্তন সম্ভব।
বুধবার (২৫ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণে রিসোর্সপার্সনরা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারে ক্যান্সার, হৃদরোগসহ নানা প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে পরিবারে আর্থিক চাপ সৃষ্টি করে। তামাক শুধু ব্যক্তি নয়, পরোক্ষ ধূমপানের মাধ্যমে পরিবার, বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। তামাকের কারণে পরিবেশ দূষণের মাত্রাও বাড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় এখনই প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলনের মতো জনসম্পৃক্ত সচেতনতা কার্যক্রম। বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণ সময়োপযোগী ও অনুকরণীয় উদ্যোগ হিসেবে গণ্য হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক এবং সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ।
প্রশিক্ষণে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকি, সামাজিক প্রভাব এবং আইনি দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এর আগে, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী খোকন রানার সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক, ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ, এলজিইডি প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মিজানুর রহমান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ, সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামানিক, জামায়াতের সেক্রেটারি আতাউর রহমান, শিউস চেয়ারম্যান ড. শফিউল ইসলাম ভূঁইয়া, গণমাধ্যমকর্মী সুদীপ্ত শামীম জাতীয় নাগরিক পার্টির আজিজুর রহমান প্রমূখ।
শিহাব
