
কক্সবাজারের পাশ্ববর্তী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কাগজিখোলা ও লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী খুটাখালির ছরা খালের ওপর একটি সেতুর অভাবে দুই ইউনিয়নের প্রায় দশ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয়রা কাঠের সাঁকো ব্যবহার করেই পারাপার করছেন। বর্ষার সময় পানির প্রবল ঢলে সেই সাঁকো তলিয়ে যায়। ইতিমধ্যে সাঁকো থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে বলে জানান স্থানীয়রা। এ পথে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী। সাঁকোতে পা পিছলে অনেকে গুরুতর আহতও হয়েছেন।
স্থানীয় যুব সমাজসেবক জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, আমাদের কষ্টের যেন শেষ নেই। এই খালের মধ্যে একটি সেতু হলে দুই ইউনিয়নের মানুষ অনেক উপকৃত হতো।
স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দ হোসেন বলেন, “বর্ষাকালে সাঁকো ডুবে যায়। তখন পেছন ফিরতে হয়। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে অনেক কষ্ট হয়।
সাপেরগাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রোকনুল ইসলাম বলেন, “এখানে একটি পাকা সেতু খুবই প্রয়োজন। এটি আমাদের মৌলিক দাবি।”
অন্যদিকে, মারমা সম্প্রদায়ের কয়েকজন নারী-পুরুষ জানান, তারা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও চিকিৎসার জন্য এ সাঁকো পার হন। বর্ষায় নৌকাও চলে না, সাঁকোও ডুবে যায়।
এ বিষয়ে, স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোছাইন বলেন, “সেতুটি নির্মাণ হলে বাইশারী ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হাজারো মানুষের যাতায়াত সহজ হবে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে। বিষয়টি একাধিকবার উর্ধ্বতন দপ্তরে জানানো হয়েছে।”
স্থানীয়রা দ্রুত একটি সেতু নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Jahan