
বগুড়া শাজাহানপুরে শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবতির লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
আজ ২৫ জুন বুধবার সকালে বগুড়া শাজাহানপুরের আড়িয়া ইউনিয়নের শালুকগাড়ি গ্রামে পুকুরপাড় এলাকায় জনৈক ওয়াহেদ আলীর ভাড়া বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল ওই নারীর মরদেহ।
নিহত যুবতি একই উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের পারতেখুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত জাকারিয়া হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আকতার (৩২)।
তবে গত ফেব্রুয়ারিতে নিহত সুমাইয়া ও রাজুসহ কয়েক জনের নামে একটি মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন নিহতের ছোট ভাই কাওসার আহমেদ এপোলো।
বাড়ির মালিক ওয়াহেদ আলী জনকণ্ঠকে জানান, নিহত সুমাইয়া গত ফেব্রুয়ারি মাসে জনৈক রাজু নামের এক ব্যক্তির সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বগুড়া শহরের ঠিকানা দিয়ে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় রাজু মাইক্রোবাস চালক বলে পরিচয় দেয়।
তিনি আরো বলেন, "তারা প্রায়ই দিনের দুপুর পর্যন্ত ঘুমাতো। মঙ্গলবার সারাদিন সুমাইয়া ঘরের দরজা খোলেনি। সারাদিন বারান্দার লাইট জ্বলেছিল। বুধবার সকালে তাদের বারান্দায় গিয়ে তালাবদ্ধ দেখতে পাই। পরে সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনি। তারা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ আসলে দরজা ভেঙে সুমাইয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।"
নিহতের পরিবার জানায়, প্রায় ১১ বছর পূর্বে উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের টিকাদারপাড়া এলাকার মৃত নজমল হোসেনের পুত্র বাপ্পির সাথে তাদের মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। তবে এতোদিন তারা কিভাবে ছিল, তা জানেন না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন জানান, মেয়েটি তার পিতার পরিবার এবং স্বামীর পরিবারের কাছ থেকে দূরে থাকতো এবং যার স্ত্রী পরিচয়ে এই বাড়িতে থাকতো, সেও পলাতক। এ কারণে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, তার প্রকৃত কারণ কেউই বলতে পারছেন না।
নিহতের স্বামী বাপ্পির প্রতিবেশীরা জানান, "বাপ্পি দিনের বেশিরভাগ সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে। বর্তমানে সে খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তার স্ত্রী বেশ কিছুদিন আগে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে গেছে।"
এ ঘটনায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা।
তিনি জানান, "গলায় ওড়না ঝুলানো অবস্থায় একটি নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। আপাতত থানায় অপমৃত্যু মামলা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।"
সজিব