
ছবি: জনকণ্ঠ
পরিবেশ দূষণ, গাছ কাটা ও পলিথিনের ব্যবহারে মানুষের বাসযোগ্য পৃথিবী দিনদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের রংপুরের পরিচালক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আবু জাফর।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মো. আবু জাফর বলেন, মানুষের বাসযোগ্য পৃথিবী দিনদিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। নির্বিচারে গাছ কাটা ও দূষণ বৃদ্ধির ফলে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পরিবেশ দূষণের অন্যতম একটি কারণ হলো পলিথিন। এই পলিথিন পানি ও মাটিতে পচে না এবং এটি পোড়ালে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হয়। প্লাস্টিকের বহুল ব্যবহারে পরিবেশে মাইক্রো প্লাস্টিকের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এজন্য পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে।
ইটভাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইটভাটা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা মানুষ ও অন্যান্য জীবের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, বিকল্প জ্বালানির উৎস খুঁজে বের করা ও পরিবেশবান্ধব ইট তৈরির পদ্ধতি গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। পরিবেশ দূষণরোধ শুধু আইন প্রয়োগে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন। তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান।
রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) পরিমল কুমার সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে রংপুরের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক কার্যালয়ের পুলিশ সুপার (ট্রাফিক অ্যান্ড অপারেশন্স) বি. এম. আশরাফ উল্যাহ তাহের, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) লিমন রায়, রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়’ এই প্রতিপাদ্যে এবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে রংপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, এনজিও প্রতিনিধি, পরিবেশকর্মী ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শহীদ