ছবিঃ সংগৃহীত
‘শুধু আইনকানুন প্রয়োগ করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠিয়ে আমরা পরিবেশবান্ধব সমাজ গড়তে পারবো না। আইন দিয়ে ঠিক তখনই শতভাগ কার্যকর করা যায়, যখন একই মাত্রায় নাগরিক সচেতনতা ভূমিকা পালন করে। কারণ নাগরিক সচেতনতা এবং আইন প্রয়োগ—এই দুটি পরিপূরক ধারণা।’
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার এসব কথা বলেন।
সভা শেষে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এর আগে সকালে ‘প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করতে এখনই সময়’ এ প্রতিপাদ্যে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ অবৈধ ইটভাটা স্থাপন। বারবার আমরা অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান চালিয়েছি। বহু ইটভাটা আমরা বন্ধ করেছি, তাদেরকে শাস্তির মুখোমুখি করেছি। কেউ আবার শুরু করলে, আমরা আবারও বন্ধ করেছি। তবে ২৪ ঘণ্টা প্রশাসন তা পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়; নাগরিক সচেতনতা বা পরিবেশের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো সচেতন না হলে একা প্রশাসনের পক্ষে সব সম্ভব নয়। লক্ষ্মীপুর জেলার অন্যতম সংকট হচ্ছে জলাবদ্ধতা। পানি সরছে না। প্লাস্টিক, বর্জ্য ও অবৈধ স্থাপনা দিয়ে খাল-বিলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। এতে বর্ষা মৌসুম আসার আগেই জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করেছে। এখনো অবৈধ স্থাপনা ও বর্জ্য অপসারণে কাজ চলমান রয়েছে। আমরা কাজ করছি, প্রয়োজন জনসচেতনতা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক জসীম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হক, পরিবেশ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান, পরিদর্শক মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
ইমরান
