ছবিঃ সংগৃহীত
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার রৌশনহাট এলাকায় মোস্তান আলী শাহ মাজারের সড়কটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সড়কটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় জনসাধারণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তে পরিণত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে সড়কের দুই-পাশ। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অটোরিকশা ও সিএনজি চালকেরা। দু’এক দিন পর পর গাড়ি মেরামত করতে গিয়ে আয়ের চেয়ে ব্যয় হচ্ছে বেশি।
বোরহান উদ্দিন নামে স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়েছে সড়কটি। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে ৩৫/৪০টিরও বেশি ইটভাটার ট্রাক চলাচল করে। যার ফলে ৬টি গ্রামের ৫-৬ হাজার মানুষের যাতায়াতের সড়কটি ভেঙে পড়েছে। সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ না থাকার কারণে চরম ভোগান্তির মাঝে পড়েছে এলাকার জনসাধারণ। বর্ষামৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাতে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে সড়কটি। এতে করে বিকল হয়ে যায় অটোরিকশা, সিএনজি সহ বিভিন্ন যানবাহনগুলো।
তিনি আরো বলেন, সরকার পতনের আগে সড়কটি মেরামতের জন্য কয়েকজন লোক এসে পরিদর্শন করে চলে যান। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার আশ্বাস দেন তারা। তবে এখনো পর্যন্ত মেরামত না করার কারণে আরো চরম ভোগান্তির মাঝে পড়তে হয়েছে।
বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বর্ষাকালে আরো বেশি সমস্যার শিকার হতে হয়। যাতায়াতের জন্য সড়কটি এখন অনুপযোগী। যেকোনো সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষ করে বর্ষামৌসুমে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সড়কটি।
কাঞ্চনগর ইউনিয়নের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনিসকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ আহমেদ জানান, জুন মাসে অর্থবছর শেষ হবে। জুলাইয়ে গ্রামীণ সড়কগুলো সংস্কার করার জন্য বার্ষিক একটা বাজেট ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যে যেসব সড়ক ভেঙে পড়েছে, তার তালিকা করা হয়েছে।
ইমরান
