ছবি: সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়ার নদী তীরবর্তী এলাকায় একটি আধুনিক পোর্ট নির্মাণ এবং আশপাশের পরিবেশ উন্নয়নের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর নির্ধারিত জমিতে এই পোর্ট নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হলেও প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ (PPP) মডেলে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রবিবার (২২ জুন) শিমুলিয়া বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজার বেইজ সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মো. নাজমুল হাসান, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল করিম মল্লিক, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মো. শামসুল আলম সরকার এবং লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন প্রমুখ।
ব্রিফিংকালে নৌ উপদেষ্টা জানান, পোর্ট ও আশপাশের এলাকার সৌন্দর্যবর্ধন, পরিচ্ছন্নতা ও জনবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে কাজ করবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণে জেলা প্রশাসক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, নদীর পাড় ঘেঁষে একটি আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্রিক পরিবেশ গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে, যা স্থানীয়দের পাশাপাশি ঢাকা থেকে আগত পর্যটকদের জন্যও উপভোগ্য হবে। এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কারণ বিআইডব্লিউটিএ’র নিজস্ব কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “এই পোর্ট বাস্তবায়িত হলে মুন্সীগঞ্জের অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার হবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।” পাশাপাশি পোর্ট এলাকার বাইরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়নেও সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, সরকার এরই মধ্যে কয়েকটি রিভারাইন পোর্ট 'ওয়েট লিজ' ভিত্তিতে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। একটি প্রকল্প দিয়ে শুরু করে ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি পোর্ট উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোক্তারা এই খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী হলে সরকার তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।
আসিফ
