ছবি: প্রতীকী
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমি-সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জেরে সংঘটিত এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মিয়া (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী, দুই ছেলে, পুত্রবধূসহ অন্তত ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ২টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাদশা মিয়া মারা যান।
এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে নিহতের বড় ছেলে সইজ উদ্দিন চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের নাটকটোকা (ডাকুয়াপাড়া) গ্রামে বাদশা মিয়া তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ির আঙিনায় বাঁশের বেড়া নির্মাণ করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী রুহুল আমিন (৩০), রবিন ইসলাম (২৫), হাফিজ উদ্দিন (৫৮), রুবিনা বেগম (৫৫) ও তাদের সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। তারা ধারালো বঁশিলা, মাছ ধরার লোহার খোচা ও লাঠি দিয়ে পরিবারের সদস্যদের এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
হামলায় বাদশা মিয়ার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ লাগে। তার ছোট ভাই সুলতান আলীর কোমরে আঘাত করে মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়। অপর ভাই সমশের আলী ও ভাবী লিপি বেগমকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। এজাহারে লিপি বেগমের শ্লীলতাহানির অভিযোগও করা হয়েছে। বাদীর মা শেফালী বেগমকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
আহতদের প্রথমে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ২টার দিকে মারা যান বাদশা মিয়া।
এ বিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোয়েল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা মামলার এজাহার পেয়েছি। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
শহীদ
