ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২

বিয়ের দাওয়াতে জনশূন্য গ্রাম, আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ছাগলের খামার

শাকিল আহমেদ, রংপুর

প্রকাশিত: ১৯:৫৪, ১৬ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৯:৫৫, ১৬ জুন ২০২৫

বিয়ের দাওয়াতে জনশূন্য গ্রাম, আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই ছাগলের খামার

ছবিঃ সংগৃহীত

বিয়ের আনন্দে মেতে ওঠা গ্রামের মানুষ যখন বরযাত্রায় বাইরে, তখনই ঘটে এক ভয়ানক ও রহস্যজনক অগ্নিকাণ্ড। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে গঙ্গাচড়ার কৃষক আশু মিয়ার খামার।

রোববার (১৫ জুন) রাত প্রায় ১১টার সময় উপজেলার গজঘণ্টা ইউনিয়নের কিসামত হাবু গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতার সূত্রে জানা গেছে, আশু মিয়ার ছেলে বিয়ে করতে যাওয়ায় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা সকলে বরযাত্রায় বাইরে ছিলেন। ওই বিয়েতে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অংশ নেওয়ায় গ্রামটি প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। এই সুযোগে খামারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

রাতের অন্ধকারে এক রিকশাচালক আগুনের লেলিহান শিখা দেখে চিৎকার করলে ধীরে ধীরে ওই এলাকার কিছু লোক উপস্থিত হন। এরপর একজন ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে, গঙ্গাচড়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

তবে এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যায় খামারে থাকা সাতটি ছাগলসহ, গবাদিপশুর খাদ্য, খড়, কাঠসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তবে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের তৎপরতায় খামারের ভেতরে থাকা সাতটি গরু জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আশু মিয়া বলেন, “সকলেই বর আনতে গিয়েছিল, বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে কেউ হয়তো আগুন লাগিয়ে দিয়েছে মনে হয়। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

ঘটনার খবর পেয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গঙ্গাচড়া উপজেলা শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সান্ত্বনা জানিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এছাড়া স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান বকুল মিয়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, “ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২ বান্ডিল টিন, নগদ ৬ হাজার টাকা ও ২ প্যাকেট শুকনো খাবার সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”

রিফাত

×