নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ছেলেকে (১৩) ধর্ষণ করতে না পেরে তার দুই অণ্ডকোশ কেটে ফেলার ঘটনায় হাফেজ জোবায়ের আহমদ শাওন নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে আড়াইহাজার থানা পুলিশ।
শাওন নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার নোয়াদিয়া বাজার এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ৪ টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের লালুর কান্দি গ্ৰামে গ্রেফতারকৃত শাওনের শ্বশুরবাড়ি শফিক মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ছেলের মা মাসুদা বেগম বাদী হয়ে সোমবার (১৬ জুন) থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী মাসুদা বেগম ছেলের জবানবন্দি অনুযায়ী জানান, তার ছেলে (১৩) এবং অভিযুক্ত শাওন নরসিংদীর ফয়দাবাদ চাঁদ পাশা জিয়াউল মাদ্রাসার একসাথে পড়াশোনা করে। সেই সাথে তাদের পরিচয়। গত ১১ই জুন বুধবার রাতে আমার ছেলেকে নিয়ে শাওনের শ্বশুরবাড়ি আড়াইহাজার নিয়ে যান। যাওয়ার পথে তাকে একটি জুস খাওয়ানো হয় পরে তার চোখে নিদ্রা চলে আসে। সেখানে রাতে তারা দুজন এক বিছানায় শুয়ে শাওন ছেলেটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে তাতে ব্যর্থ হয়ে সে ছেলেটির দু্ই অণ্ডকোশ কৌশলে কেটে ফেলে। তখন ছেলেটি চিৎকার শুরু করলে শাওন তড়িঘড়ি করে তাকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। অভিযুক্ত শাওন তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি না করে তাকে গোপনে নরসিংদীর পুঠিয়া বাজার এলাকার হোনাতলা শাওনের ফুফুর বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার ফুফুর বাড়িতে ওই দিন (১২ জুন) বৃহস্পতিবার কয়েক ঘণ্টা রাখার পর ছেলেটির অবস্থার অবনতি হলে শাওন তাকে ওই দিনই সন্ধ্যায় নরসিংদী সরকারি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই নরসিংদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোববার দিবাগত রাতে শাওনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দিয়ে সোমবার নারায়ণগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
সজিব
