
ছবিঃ সংগৃহীত
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ধুরুং নদীতে গোসল করতে নেমে নানি শাহানু বেগম (৪৫) ও নাতনি মুনতাহা (৮) নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টা পর নানির এবং চার ঘণ্টা পর নাতনির মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনার এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ডুবুরি দল না থাকায় তারা উদ্ধারকাজে অংশ নিতে পারেনি। এদিকে ডুবুরি দল না থাকায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় উদ্ধারকাজে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার কাঞ্চননগরের মানিকপুর গ্রামের মহিষের ঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। শাহানু বেগম ওই গ্রামের মৃত বদিউল আলমের স্ত্রী এবং শিশু মুনতাহা একই এলাকার মোহরম আলীর কন্যা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে দুই নাতনি সুমাইয়া ও মুনতাহাকে নিয়ে বাঁশের ভেলায় করে নদীতে গোসল করতে নামেন নানি শাহানু বেগম। মুহূর্তেই নাতনি মুনতাহা বাঁশের ভেলা থেকে পড়ে ডুবে যেতে থাকলে তাকে বাঁচাতে গিয়ে অপর নাতনিসহ খালে পড়ে যান নানি নিজেও। পরে নাতনি সুমাইয়া সাঁতরে কূলে উঠতে সক্ষম হলেও পানিতে ডুবে যান নানি শাহানু ও নাতনি মুনতাহা। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তল্লাশি চালিয়ে ঘটনার তিন ঘণ্টা পর নানির মরদেহ উদ্ধার করেন। নানির লাশ উদ্ধারের এক ঘণ্টা পর নাতনির মরদেহও উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রমজান বলেন, “নদীতে পড়ে নানি-নাতনি নিখোঁজের চার ঘণ্টা পর এলাকাবাসী তল্লাশি চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে ডুবুরি দল না থাকায় ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পানিতে নামতে পারেনি।”
ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “আমরা খবর পেয়ে নদীতে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছি। যেহেতু আমাদের সঙ্গে কোনো ডুবুরি সদস্য নেই, সেহেতু বিষয়টি জেলায় জানিয়েছি। সেখান থেকে ইতিমধ্যে ডুবুরি দল রওনা দিয়েছে বলে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে।”
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনা শুনে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি।”
রিফাত