
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য শান্ত প্রধানকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার দুপুরে সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীর পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শান্ত প্রধানের মা তাছলিমা বেগম, তার ভাই আরফান প্রধান, মামী রীনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত প্রধানের মা তাছলিমা বেগম লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের লঙ্করবাড়ি এলাকা থেকে পুলিশ ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি আলী হোসেনের ছেলে রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এলাকাবাসী রিপনের ওয়ারেন্টের প্রমাণ দেখতে চায়। ওই সময়ে সাদা পোষাকে পুলিশ ওয়ারেন্টের প্রমাণ ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গেলে এলাকাবাসী পুলিশকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে ওই স্থানে হট্টগোল শুরু হয়। পরবর্তীতে শান্ত প্রধান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। স্থানীয়দের চাপের মুখে পুলিশ রিপন মিয়াকে ছেড়ে দেয়।
শান্ত প্রধান পুলিশকে বলেছিলেন, ওয়ারেন্টের প্রমাণ নিয়ে আসলেই তাকে তাদের হাতে তুলে দেবেন। পুলিশ চলে যাওয়ার পর রিপন মিয়া আত্মগোপনে চলে যায়। রিপনকে পুলিশে তুলে দিতে না পারায় শান্ত প্রধানও আত্মগোপনে চলে যায়। পরে গত রোববার সন্ধ্যায় কাঁচপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্ত প্রধানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর শান্ত প্রধানকে অমানুষিক নির্যাতন করে পুলিশ। পুলিশের নির্যাতনে শান্ত এখন ঠিকমতো দাড়াতে পারছেন না।
তিনি আরো বলেন, শান্ত প্রধানকে শুধু নির্যাতনই করেননি, তাকে কিশোরগঞ্জের ডিম চুরির একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নির্যাতনের অভিযোগ সত্য না। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পুলিশের কাছ থেকে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রাজু