ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শাজাহানপুরে কোরবানির বাজারে গরুর মন্দা, বিপাকে খামারি ও বিক্রেতা

আব্দুল কাইয়ুম,কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, শাজাহানপুর ,বগুড়া

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ০০:০২, ৫ জুন ২০২৫

শাজাহানপুরে কোরবানির বাজারে গরুর মন্দা, বিপাকে খামারি ও বিক্রেতা

ছবি: জনকন্ঠ

মাত্র ৩ দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ সামনে রেখে বগুড়ার শাজাহানপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাটগুলোতে পশুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ক্রেতা বিক্রেতা সবমিলিয়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় হাট চত্বর।

চাহিদার তুলনায় গরু বেশি হওয়ায় দাম পাচ্ছে না বিক্রেতারা। মাঝারি আকৃতির গরুর চাহিদা বেশি ফলে বিক্রি হচ্ছে সহজেই। কিন্তু বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিপাকে পড়ছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।

বগুড়া শহরতলীর বনানী এলাকায় অবস্থিত বৃহত্তম সুলতানগঞ্জ পশুর হাট, মাঝিড়ার দুবলাগাড়ি হাট, রানীর হাটসহ বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে এমন দৃশ্য নজরে পড়ে।

সরবরাহ বেশি হওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় এবার মাঝারি গরুর দাম গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার এবং বড় গরুর দাম গড়ে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কম। কমদামে গরু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। তবে বাজার মন্দায় মন খারাপ বিক্রেতা ও খামারিদের।

অন্যদিকে খামারিরা জানাচ্ছেন, পশুর লালন-পালনের খরচ বেড়েছে বহুগুণ। এক বস্তা গমের ভুসি যেখানে এক সময় পাওয়া যেত ১ হাজার টাকায়, এখন তার দাম দাঁড়িয়েছে প্রায়  ২২০০-২৪০০ টাকা । এমন পরিস্থিতিতে গরু বিক্রি করেও খরচ উঠছে না, উল্টো গুনতে হচ্ছে লোকসান।

ক্রেতারা বলছেন, বর্তমান গরুর বাজার সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। দাম খুব একটা বেশি মনে হচ্ছে না। তবে বড় গরুর তুলনায় ছোট গরুর দামটা একটু বেশি। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চলছে দর কষাকষি। তবে দাম ছাড়তে নারাজ বিক্রেতারা। আবার দাম দরে মিলে গেলেই পশু নিয়ে হাট ছাড়ছেন ক্রেতারা।

এদিকে হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম অনুযায়ী শুধু বিক্রেতার কাছ থেকে খাজনা নেওয়ার কথা থাকলেও, বাস্তবে ক্রেতাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। উভয় পক্ষ থেকে গরু ও মহিষ প্রতি ৭০০ টাকা এবং ছাগল-ভেড়ার ক্ষেত্রে ৬০০ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এতে ইজারাদাররা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাইফুর রহমান জানান, "এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত খাজনার কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। হাটে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

×