ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সিলেটে ভারতীয় চোরাই গরুতে ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা

বদরুল ইসলাম, সিলেট

প্রকাশিত: ২৩:৫৪, ৪ জুন ২০২৫

সিলেটে ভারতীয় চোরাই গরুতে ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা

দুই দিন পরেই কোরবানির ঈদ। ঈদকে সামনে রেখে সিলেটে পশুর হাটে জমজমাট কেনাবেচা শুরু হয়েছে। শহর ও গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাটে গরুর ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে গরুর বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় গরুর পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে রাতের আঁধারে আসছে ভারতীয় চোরাই গরু, যা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু গোপনে ঢুকছে। বিশেষ করে বিচনাকান্দি ও জাফলং সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিরা প্রকাশ্যে সক্রিয় রয়েছে। ট্রাক ভর্তি ভারতীয় গরু উন্মুক্ত রাস্তা দিয়ে আসলেও প্রশাসনের নজরদারি চোখে পড়ছে না।

ভারতীয় গরু বর্ডার পেরিয়ে সিলেট শহর ও গ্রামাঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বাজারে স্থানীয় গরুর চাহিদা বেশি হলেও দাম তুলনামূলক বেশি। অন্যদিকে ভারতীয় গরু মোটাতাজা এবং কম মূল্যে পাওয়ায় ক্রেতারা সেগুলোর দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীরা ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, “ভারতীয় গরুর প্রবেশের কারণে আমরা আমাদের গরুর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছি না। ভারতীয় গরু কম দামে বিক্রি হওয়ায় মানুষ এখন দেশীয় গরু কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন না। প্রতি বছরই ঈদের সময় এমন পরিস্থিতি ঘটে। আমরা সারা বছর খরচ করে গরু লালন-পালন করি, কিন্তু ভারতীয় গরুর অবৈধ আমদানি আমাদের জন্য বড় ধাক্কা।”

জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। চোরাচালান রোধে আমরা সর্বোচ্চ তৎপর আছি।”

নুসরাত

×