
ছবি: সংগৃহীত
আজ ( ১৮ মে ) রবিবার সকালে কেরানীগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,মশার উৎপাত চরম আকার ধারণ করেছে, তারা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। মশার কামড়ে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী মানুষ সবাই চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বাজারে পাওয়া মশার কয়েল ও অন্যান্য প্রতিরোধকও কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা মশার কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না, যা তাদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
সন্ধ্যার পর ঘরে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দিনের বেলাতেও মশার উৎপাত বেড়ে গেছে, ফলে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই মশার কামড়ে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে ফগার মেশিন থাকলেও কখন ও আমাদের এলাকায় আসে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখিনি।
রুহিতপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মামুন বলেন, আমাদের এখানে মশার ওষুধ ছিটাতে দেখা যায় না। কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, যেন দ্রুত আমাদের এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। মশা অনেক বেড়ে গেছে। দিনে ঘুমাতে গেলে বা সন্ধ্যার পর থেকে মশারি টাঙিয়ে রাখতে হয়। মশার সমস্যা খুবই জটিল হয়ে পড়েছে। এর মাঝে জানতে পারলাম আবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। আমরা সুরক্ষিত থাকতে চাই। আর প্রশাসনের কাছে একটাই দাবি আমাদের প্রতিটি এলাকায় যেন ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রাখে এটাই আমাদের দাবি। আমাদের আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে, জলাবদ্ধতা দূর করা, নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শাক্তা ইউনিয়নের বাসিন্দা আসিফ মিয়া বলেন, মশার উৎপাত চরম আকার ধারণ করেছে। রাতেতু টেকা যায় না,দিনের বেলায় ও মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। এখন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে মশক নিধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। শুনেছি ইউনিয়ন পরিষদে মশা মারার মেশিন আছে কিন্তু কোনোদিন দেখলাম না।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা ( ভারপ্রাপ্ত ) নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল মাওয়া মুঠো ফোনে জানান, কেরানীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আমাদের ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধনের কাযক্রম চলমান আছে৷ তবে আমাদেরকে নিজ উদ্যোগে ও বাড়ির আঙ্গিনাসহ আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। ঋতু পরিবর্তনের সময় স্বাভাবিকভাবে মশার উপদ্রব বাড়ে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে কেরানীগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বশীলতার সাথে কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নুসরাত