ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কুয়েটে আবার অস্থিরতা, প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা

আরিফুর রহমান, খুলনা

প্রকাশিত: ১৬:১৭, ১৮ মে ২০২৫

কুয়েটে আবার অস্থিরতা, প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষনা

ছবি: দৈনিক জনকন্ঠ

কুয়েটে সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছিতদের ঘটনায় দোষীদের বিচারিক কার্যক্রম আগামীকাল সোমবার (১৯ মে) দুপুর বারোটার মধ্যে শেষ না হলে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি আজ থেকে সকল প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

রবিবার (১৮ মে) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা।

এর আগে,  শিক্ষকরা তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে বৈঠক করেন। 

পরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে ড. মো: ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দোষীদের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছে। যার কারণে কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম সংকটের মধ্যে পড়েছে। মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থীর স্বার্থ রক্ষায় ও উপর মহল নামক অদৃশ্য শক্তিকে তুষ্ট করছে বর্তমান প্রশাসন। আগামীকাল দুপুর বারোটার মধ্যে প্রশাসন কোন সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না নিলে উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।”

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে অচলাবস্থা চলছে। পরে শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন ও আমরণ অনশনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। 

গত ১ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও একাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেননি শিক্ষকরা। ছাত্রদের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানান কুয়েট শিক্ষক সমিতি।

মিরাজ খান

×