ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোরেলগঞ্জে তিন গ্রামের মানুষের ভরসা গাছের সাঁকো

নিজস্ব সংবাদদাতা মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২৯ মার্চ ২০২৪

মোরেলগঞ্জে তিন গ্রামের মানুষের ভরসা গাছের সাঁকো

বরইতলা গ্রামের গাছের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

মোরেলগঞ্জে জিউধরা ইউনিয়নে একটি ভাঙা পুল পারাপারে তিন গ্রামের মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। প্রতিবছরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় মেরামত করা হয়। মেম্বার, চেয়ারম্যান চোখ বুঝে দিন পার করছে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
সরজমিনে বাগেরহাট মোরেলগঞ্জের জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডে লক্ষীখালী ভাড়ানি খালের সংযোগ দুইপারেই ওই ওয়ার্ডেও একই গ্রামের চারশ’ পরিবারের বসবাস। যাতায়াতের ভরসা একটি ভাঙা পুল। গাছের সাকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত বরইতলা, ঠাকুরনতলা ও বটতলা তিন গ্রামের দুই থেকে তিন হাজার মানুষকে।  ৭ বছর ধরে এ সাঁকো পেরিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা শহরসহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। দক্ষিণবাংলা কলেজ, হাজী রাজাউল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তালিমুন্নেছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ শিক্ষার্থী যাচ্ছে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে। ৩টি জামে মসজিদের মুসল্লি যাচ্ছেন নামাজে। এ সাঁকো পারাপার হতে বৃদ্ধ ও শিশুদের প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকদের থাকতে হয় দুশ্চিন্তায়।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হাওলাদার, আলতাফ হোসেন হাওলাদার, হোসনেয়ারা বেগম, শিক্ষার্থী আরজুন হাসান বাপ্পি বলেন, প্রতিবছর নিজেরা চাঁদা দিয়ে গাছ খুঁটি বসিয়ে মেরামত করে কোনোমতে পারাপার হচ্ছি। চেয়ারম্যান-মেম্বারের এগুলো চোখে পড়ে না। বৃদ্ধ ও শিশুরা বর্ষা মৌসুমে এ সাঁকো পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এগুলো কি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরে পড়ে না। ইউনিয়ন পরিষদের বছরের রাস্তাঘাট তৈরি, পুল-কালভার্ট মেরামতের বরাদ্দ কোথায় যায়? 
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ থেকে একবার এ পুলটি মেরামত করা হয়েছে। পরিষদের সামান্য অর্থ বরাদ্দে কোনো কিছুই হয় না। 
জিউধরা ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বাদশা বলেন, বরইতলা সংযোগ খালের ওপর পুলটি একবার ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে মেরামত করা হয়েছে। 

×