ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বললেন তদন্ত কমিটি

জবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২০:১০, ২২ মার্চ ২০২৪; আপডেট: ২০:২৮, ২২ মার্চ ২০২৪

কুমিল্লায় অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বললেন তদন্ত কমিটি

কুমিল্লা শহরের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনা অনুসন্ধানে তার মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা কথা বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গঠিত তদন্ত কমিটি। 

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল ১০টায় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের অরনিকা পার্কে অবন্তিকার বাসায় যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। 

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন। 

তিনি বলেন, আত্মহত্যার ঘটনার তদন্ত করতেই মূলত আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম কুমিল্লায় এসেছি। এর মধ্যে তদন্ত কমিটির পাঁচ জন ও একজন সহকারী প্রক্টর ছিলেন। আমরা আড়াই ঘণ্টা ধরে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। 

এ ঘটনা সম্পর্কে অবন্তিকার মা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা জানেন সব শুনেছি। আত্মহত্যার স্থানও পরিদর্শন করেছি। 

তদন্তে অবন্তিকার বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন জানিয়ে অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন আরও বলেন, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে আমরা পুলিশ ও অভিযুক্তদের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করব। তাদের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু তথ্য চাইব। 
তবে তদন্তে যেসব তথ্য বেড়িয়ে এসেছে সে বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে মুখ খুলতে চাননি তারা। 

বলেন, তদন্তের কাজ চলছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা করব। 

এ বিষয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম জানান, তদন্ত কমিটি সকল তথ্য নিয়েছে। আমিও ওনারা যা যা জানতে চেয়েছেন সকল তথ্য দিয়েছি। আমাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা গত ১৪ মার্চ রাতে ফেসবুকে এক পোস্টে তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে তার কুমিল্লার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

সেদিন মধ্যরাত থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ওইদিন রাতেই শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিস্কার ও শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে জবি প্রশাসন। 

এছাড়া ঘটনার পরদিন শনিবার রাতেই কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও সহপাঠী রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।

এসআর

×