ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা আতিকউল্লাহ খান মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ 

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২২ মার্চ ২০২৪

জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা আতিকউল্লাহ খান মাসুদের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণসভা

স্মরণসভা। 

আধুনিক সাংবাদিকতার পথপ্রদর্শক যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে শুক্রবার সকালে মুন্সীগঞ্জ প্রেস ক্লাবে স্মরণসভা হয়েছে। সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনের এই স্মরণসভায় সাংবাদিক ছাড়াও বিশিষ্টজনরা অংশ নেন। 

আলোচনা করেন মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর বাছিরউদ্দিন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক স্বপন কুমার মোদক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অভিজিৎ দাস ববি, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ খোকাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনকণ্ঠের রিপোর্টার মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল। 

স্মরণসভায় বক্তরা দেশের সংবাদপত্র জগতকে বিশেষ উচ্চায় নিয়ে যাওয়ার পথিকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদের স্মৃতিচারণ করে বলেন, তিনি জনকণ্ঠ প্রকাশ করে বাঙবালিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনে এবং সঠিক ইতিহাস উদঘাটনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। 

যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সিরিজ রিপোর্ট, দুনীর্তির রাহুগ্রাস, জঙ্গীবাদ, অপচিকিৎসা, ধর্মান্ধতাসহ নানা অসংগতি দূর করতে বীরের ভূমিকা রাখেন তিনি। 

জনকণ্ঠ এমন একটি পূর্ণাঙ্গ সংবাদপত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায়ও বড় ভূমিকা রাখে। ১৯৯৩ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি থেকে একযোগে ৫টি স্থান থেকে ছাপার পর দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যেই এই সাহসী সংবাদপত্র ছড়িয়ে পরার ঘটনা দেশবাসীর জন্য তখনকার সময়ে ছিল একটি বিস্ময়কর ঘটনা। তাই এই গুণী মানুষটির জন্য বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জবাসী গর্বিত। 

বক্তারা আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথাঁর পর তিনি থেমে থাকেন নি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাঙালির কল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে গেছেন। রক্তচক্ষু বা কোন লোভ লালসা তাকে এতটুকু টলাতে পারেননি। সত্য ও সুন্দরের আদর্শ নিয়ে জনকণ্ঠ দিয়ে বাঙালির পাশে ছিলেন।

 নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তাঁর প্রতিষ্ঠিত জনকণ্ঠ গণ মানুষের কল্যাণে এখনও ধারাবাহিক অবদান রাখার জন্য বক্তরা তাঁর সুযোগ্য সহধর্মীনী দৈনিক জনকণ্ঠের বর্তমান সম্পাদক শামীমা এ খানের ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেন। 

২০২১ সালের এই দিনে মাত্র ৭১ বছর বয়সে প্রবাদপ্রতিম পুরুষ ক্ষণজন্মা এই সম্পাদক সকলক কান্নার সাগরে ভাষিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। জনাব  মাসুদ ১৯৫১ সালের ২৯ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার মেদিনীমÐল খান সাহেবের বাড়ির এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকেই সৎসাহসী মানুষটি ২১ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে জীবন বাজি রেখে দেশ মাতৃকার জন্য ছিলেন সম্মুখভাবে। পাকিবাহিনীর গোলার মুখেও লড়ছেন বুদ্ধিমত্ত্বার সঙ্গে । 

তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ২ নং সেক্টরের অধীন মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা কমান্ডার হিসাবে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেন এবং গোয়ালীমান্দ্রা যুদ্ধসহ অনেক সফল যুদ্ধে তাঁর অবদান স্মরণীয়। তাই মহান মুক্তিযদ্ধসহ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে তাঁর বীরত্বগাঁথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে জাতি। 


 

এসআর

×