ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলতলায় ধানের চারার জমজমাট হাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:২২, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শিমুলতলায় ধানের চারার জমজমাট হাট

সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের শিমুলতলায় ধানের চারার হাট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের শিমুলতলায় ধানের চারা বেচাকেনা হচ্ছে জমজমাট। আশপাশের কয়েক জেলার মানুষ এ হাটে বিক্রি করছেন জিরা, আটাশসহ বিভিন্ন রকমের ধানের চারা। একদিকে ন্যায্য দামে চারা বিক্রি করতে পেরে খুশি তারা অন্যদিকে বরেন্দ্রের কৃষকরা স্বল্পমূল্যে ধানের চারা কিনে হচ্ছেন লাভবান।

কৃষি বিভাগ বলছে, এসব চারার গুণগত মান অনেক ভালো সরেজমিনে শিমুলতলায় ধানের চারার হাটে গিয়ে দেখা যায়, পিকআপ-ভটভটি, ব্যাটারিচালিত ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ধানের চারা। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা কিনতে এসেছেন জিরা, আটাশ জাতের ধানের চারা। ৮০ আঁটি এক পৌন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে এসব চারা। রকমভেদে পৌন প্রতি চারা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

চারা কিনতে আসা কৃষকরা জানিয়েছেন, রাজশাহী, নওগাঁসহ বগুড়া জেলার লোকজন এখানে চারা বিক্রি করতে আসেন নিয়মিত ধানের এ চারার হাট প্রতিবছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ শুরু হয়ে বেচাকেনা চলে মার্চের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত। এখানে সাশ্রয়মূল্যে ধানের চারা কিনতে পাওয়া যায়। যার কারণে ঠাঁ ঠাঁ বরেন্দ্র এলাকার কৃষকরা এখান থেকেই চারা কিনে ধান লাগিয়ে লাভবান।
আব্দুর রহিম নামে এক ব্যক্তি জানান, আমনুরাসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের অনেক এলাকায় ধানের চারা তৈরি করতে গেলে পদে পদে বাধাগ্রস্ত হতে হয়। যার কারণে এখানকার কৃষকরা ধানের বীজতলা তৈরি করেন না। ফলে আমনুরা-শিমুলতলার হাট থেকে চারা কিনে ধান লাগান কৃষকরা । এতে কৃষকরা লাভবান হন।
রাজশাহীর মোহনপুরের বাসিন্দা আব্দুল কাদের মণ্ডল। তিনি ২০ বছর ধরে এখানে ধানের চারা বিক্রি করে আসছেন। তিনি ২ হাজার ৫৬০ আঁটি জিরা ধানের চারা নিয়ে এসেছেন হাটে। এ কৃষক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে ধানের চারা বিক্রি করতে আসি। 
নওগাঁর মান্দা থেকে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি ধানের চারা বিক্রি করতে এসেছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া জেলায় এই ধানের চারার হাট নেই। শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আমনুরার শিমুলতলায় রয়েছে। এখানে অনেক ধরনের ধানের চারা বিক্রি হয়। এই হাটের নামডাক ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষকরা চারা কিনতে আসেন।

×