
শীতের পোশাক নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন এক দোকানি
হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান হওয়ায় ঠাকুরগাঁও জেলা শীতে কাঁপতে শুরু করেছে। জেলায় কিছুদিন থেকে দিনে কিছুটা গরম আবহাওয়া বিরাজ করলেও সন্ধ্যার পর থেকে শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মাঝে জমে উঠতে শুরু করেছে ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকানের বেচাবিক্রি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব দোকানে ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও ও তার আশপাশের এলাকায় বর্তমানে দিনে রোদ ও গরম আবহাওয়া অনুভব হলেও সন্ধ্যা থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত বেশ ঠা-ার চাপে ফ্যান বন্ধ রাখতে হচ্ছে এবং রাতে শোবার সময় কাঁথা বা কম্বল গায়ে নিতে হচ্ছে। ফলে ঠাকুরগাঁওয়ে উষ্ণ কাপড়ের জন্য সচ্ছল ক্রেতারা যেমন ব্র্যাডিং মার্কেটের দোকানে যাচ্ছেন তেমনি স্বল্প আয়ের মানুষও পুরনো শীতবস্ত্রের অস্থায়ী দোকানগুলোতে ভিড় করায় জমে উঠছে বেচাবিক্রি।
শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও বঙ্গবন্ধু সড়কের ধারে, বড় মাঠের পাশে এবং স্টেশন রোডে যুব সংসদ মাঠে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র বিক্রির ধুম পড়েছে। গরিবদের পাশাপাশি উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষও সুলভ মূল্যে পোশাক কিনছেন এসব দোকান থেকে।
শীতবস্ত্র কিনতে আসা কয়েক ক্রেতা জানান, শীত শুরু হওয়ায় তারা কাপড় নিচ্ছেন। ব্র্যান্ডিং মার্কেটের চেয়ে এসব দোকানে কম দামে কাপড় পাওয়া যায়। কিন্তু গতবারের তুলনায় এবার এসব দোকানে দাম অনেক বেশি চাওয়া হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও রোড যুব সংসদ মাঠের কয়েক কাপড়ের দোকানদার বলেন, কয়েকদিন ধরেই সব দোকানে কম-বেশি শীতের কাপড় বেচাবিক্রি হচ্ছে। এর আগের মৌসুমে করোনার কারণে বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় দেশে আসা বন্ধ ছিল এবং বিক্রিও হয়েছে তুলনামূলক কম। তাই আগের অবিক্রীত কাপড় নিয়েই দোকান চালু করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
অন্যদিকে ঠাকুরগাঁও বঙ্গবন্ধু সড়কের ধারে, বড় মাঠের পাশে অস্থায়ীভাবে গড়ে ওঠা কয়েক দোকানদার বলেন, এবার তাদের দোকানে গত কয়েক বছরের নির্দিষ্ট স্থানে বসার ব্যবস্থা করে না দেওয়ায় তারা খুবই সমস্যায় পড়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই দোকান নিয়ে বসার মতো ভালো স্থান পাচ্ছেন না।