ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

তিস্তা সেচ প্রকল্পে দিন বদলের হাতছানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সৈয়দপুর, নীলফামারী

প্রকাশিত: ০০:৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

তিস্তা সেচ প্রকল্পে দিন বদলের হাতছানি

তিস্তা সেচ প্রকল্প কমান্ড এলাকার সম্প্রসারণ ও পুনর্বাসন কাজ চলছে

সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় তিস্তা সেচ প্রকল্প কমান্ড এলাকার সম্প্রসারণ ও পুনর্বাসনের কাজ শেষের পথে। এটি বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে বদলে যাবে এ অঞ্চলের জীবনমান। 
জানা যায়, তিস্তা নদীর ব্যারাজ এলাকা থেকে সেচের খাল নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ৩৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে খাল পুনর্বাসন, ৭২ কিলোমিটারে সেচ পাইপ, ১০.৮ কিলোমিটারে পাড় রক্ষায় কংক্রিটের ব্লক ও ৭.১৩ কিলোমিটার বাইপাস সেচখাল নির্মাণ, টেকসই উন্নয়ন ৩টি সেতু, গ্রামীণ রাস্তাসমূহে প্রয়োজনীয় কালভার্ট, পরিদর্শন সড়ক, ছোট নদী বা খালে সøুইসগেট নির্মাণের মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি সংরক্ষণের পর শুস্ক মৌসুমে সেচ পানির সরবরাহ করা যাবে। পাশাপাশি সেচ খালগুলোর ধারে প্রয়োজনীয় বৃক্ষরোপণে সুসজ্জিত ও শক্তিশালী হবে এর পাড়।

যা ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের  ডিসেম্বরে শেষ হবে। তবে ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর বরাদ্দ সময়ের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে বলে জানান সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। এতে সেচ ক্যানেলের আওতায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ ব্যবস্থায় প্রতি বছর উৎপাদন বাড়বে ৪ লাখ টন খাদ্যশস্য। জমির উর্বরতা, ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার বৃদ্ধিসহ রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসা এবং ক্যানেলের সেচ পানি ব্যবহারে কৃষকদের সাশ্রয় হবে প্রায় ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, নিবিড় পরিদর্শনের মাধ্যমে বরাদ্দ সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি দৃশ্যমান হতে চলেছে।

×