
বাবার সঙ্গে ছেলে মারুফ হোসেন
সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শামসুল হক। পেশায় একজন চা বিক্রেতা। উপজেলার শাইল্যার মোড় এলাকার ছোট চায়ের দোকান থেকে উপার্জিত টাকা দিয়েই চালান পরিবারের খরচ। এবার সেই কষ্ট স্বার্থক হয়েছে শামসুল হকের। ৪১তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তার ছেলে মারুফ হোসেন। ছেলের এমন সাফল্য আনন্দঅশ্রু এনেছে শামসুল হকের চোখেমুখে। এ সময় তিনি বললেন, ‘মাইষে কয় ঘুষ ছাড়া কিছুই হয় না। এ কথা আমি বিশ্বাস করি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে মেধায় আমার ছেলে চাকরি পেয়েছে।’
সামছুল হক আরও জানালেন, এক সময় সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে মাস্টার রোলে চাকরি করতেন তিনি। ২০১১ সালে দুর্ঘটনায় পা ভেঙে গেলে চাকরি ছেড়ে দেন। সে সময় বড় ছেলে ও মেজ ছেলের পড়াশোনা চালানোর তাগিদে ছোট চায়ের দোকান চালু করেন তিনি। দোকানের উপার্জিত টাকা দিয়েই মারুফের পড়াশোনা চালাতেন শামসুল হক। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালাতে কি না কষ্ট করেছি। মারুফ হোসেন বলেন, বাবা অনেক কষ্ট করে আমাদের সংসার চালিয়েছেন। আজ আমি ৪১তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত। দোয়া করবেন বাবা-মায়ের দায়িত্ব নিয়ে যেন তাদের কষ্টের অবসান ঘটাতে পারি।