
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাওয়ার শিমুলিয়া ও মাঝিরকান্দি নৌ-রুটে আবারও চালু হচ্ছে ফেরি চলাচল
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাওয়ার শিমুলিয়া ও মাঝিরকান্দি নৌ-রুটে আবারও চালু হচ্ছে ফেরি চলাচল। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি রুটে মোটরসাইকেল পারাপারে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌ-মন্ত্রণালয়। এছাড়া ঈদের আগে ও পরে সাতদিন সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার নৌ-মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ঈদ ব্যবস্থাপনা বৈঠকে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
বৈঠকে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ আছে, সে কারণে আমরা চেষ্টা করছি শিমুলিয়ায় বিকল্প ব্যবস্থা করতে। বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে। শিমুলিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। কাজেই আমরা চেষ্টা করছি সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ফেরি চালু করতে। শিমুলিয়া যদি চালু করি তাহলে দু’বার পদ্মা সেতু ক্রস করতে হবে। সেজন্য তাদের অনুমতির প্রয়োজন আছে। আবার সরাসরি যদি চ্যানেল তৈরি করি তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগেরও অনুমতির প্রয়োজন আছে। অনুমতি সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু মাওয়া হাইওয়ে না, ধীরে ধীরে সব হাইওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটার গতিসীমাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও হাইওয়েতে অবাধ মোটরসাইকেল চলাচলের ব্যবস্থা নাই। কাজেই আমাদের এগুলো মানতে হবে। দেখা যাচ্ছে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। তার শারীরিক সক্ষমতা, মোটরসাইকেলের সক্ষমতা সব মিলিয়ে যে কোনো মুহূর্তে একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সরকারের দায়িত্ব মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের শক্ত হতে হবে।
বৈঠক সূত্র জানায়, এ বছর ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ ২২ এপ্রিল। ঈদে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ রাখতে ঈদের পূর্বে তিনদিন ও ঈদের পরে তিনদিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতের বেলায় স্পিডবোট এবং বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে পাঁচদিন এবং ঈদের পরের পাঁচদিন অর্থাৎ ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বক্ষণিক (দিন এবং রাত) সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
সভায় জানানো হয় যে, এপ্রিল মাসে আবহাওয়া খারাপ থাকে, কালবৈশাখীর ঝড় হওয়ার শঙ্কা থাকে। সে সময়ে সকলকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে হবে। ঢাকা সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন ও নৌপুলিশ আরও সতর্কতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সদরঘাট এলাকায় ছোট ছোট নৌযানে করে লঞ্চে যাতে যাত্রী উঠানামা করতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করতে হবে। নদী বন্দরগুলোতে যাত্রীসেবার জন্য যেসব ওয়াশরুমের সুবিধা আছে সেগুলোর সংখ্যা ও সেবার মান বাড়াতে হবে। পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া, আরিচা, কাজিরহাট, হরিনা, আলুবাজার ফেরিরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।