ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় শিকারিদের ফাঁদে অতিথি পাখি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ১৯:৩৪, ১৪ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ২০:১৭, ১৪ অক্টোবর ২০২২

গাইবান্ধায় শিকারিদের ফাঁদে অতিথি পাখি

অতিথি পাখি

গাইবান্ধার বিলাঞ্চল হিসেবে পরিচিত দারিয়াপুর। এ অঞ্চলে কুমারগাড়ী, পাখিমারী, শৌলমাড়ী ও বাঘমাড়া বিলসহ আরও বেশ কিছু খাল-বিল রয়েছে। প্রতিবছরের এই সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে শুরু করে দেশিও জাতের অতিথি পাখি। ঠিক এ বছরেও পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে এই এলাকাটি। এরই মধ্যে এসব পাখি নিধণ করতে ব্যস্ত পেশাদার শিকারীরা। তবে ফাঁদ পেতে অবাধে পাখি ধরলেও নীরবে আছেন বন বিভাগ।  

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, দারিয়াপুরের বিলগুলোতে পাখির ঝাঁকের নয়নাভিরাম দৃশ্য সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে আশ্রয় নিয়েছে শত শত সাদা বক ও পানকৌড়ি। আর কতিপয় মানুষ লাঠি হাতে পাখিগুলোকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এই তাড়া খেয়ে জালে ও ফাঁদে পড়লে পাখিগুলোকে খাঁচায় আটকানো হচ্ছে। 

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ওইসব বিলে পানকৌড়ি ও সাদা বকসহ আরও অসংখ্য অতিথি পাখি ছুটে আসে। পুরো শীতকাল অবস্থান করে। পাখির কিচির-মিচির শব্দে আনন্দঘন পরিবেশকে করে তোলে প্রাণবন্ত। আবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে গেলে পাখিগুলো পূর্বের স্থানে ফিরে যায়। এই পাখির আগমনকে ঘিরে স্থানীয় শিকারীরা মাঠে নেমে মেতে উঠে নিধনের মহোৎসবে।

লক্ষণ চন্দ্র রায় নামের এক ব্যক্তি বলেন, পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এ সকল পাখি রক্ষায় প্রশাসনসহ স্থানীয়দের এগিয়ে আসা জরুরি। 

নামপ্রকাশ না করা শর্তে এক শিকারী বলেন, জীবিকার তাগিদে পাধি ধরা হয়। এসব পাখি বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রকার ভেদে প্রত্যেক পাখি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়।  

গাইবান্ধা বন বিভাগের কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, পাখি নিধনের ব্যাপারে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। ওই এলাকায় পাখি শিকারের বিষয়টি তার জানা নেই। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×