নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ ॥ ফরেস্ট ম্যানুয়াল অনুযায়ী পদের নাম কার্যনির্বাহী ফরেস্ট গার্ড। কিন্তু দেশের প্রায় আড়াই হাজার ফরেস্ট গার্ডকে বেআইনীভাবে বনপ্রহরী নাম দিয়ে ৩য় শ্রেণীরস্থলে ৪র্থ শ্রেণীর বেতন দেওয়া হচ্ছে। বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দেওয়ার বিধান থাকলেও দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তারা। চাকরির ধারাবাহিকতা রক্ষা না করে নিয়মিতকরণ আদেশজারীর তারিখ হতে কার্যকর করায় সিনিয়র কর্মচারী জুনিয়র হচ্ছে। জুনিয়র হচ্ছে সিনিয়র। এতে জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিয়োগ বিধি অনুযায়ী ৫ বছর পর পদোন্নতির বিধান থাকলেও দীর্ঘ ৩০ থেকে ৩৫ বছরেও পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বনপ্রহরীরা। তাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত বনপ্রহরীরা।
একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানালেন, বাংলাদেশ বনপ্রহরী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ বনজদ্রব্য পরীক্ষণ ফাঁড়ির সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আহমদ আলী।
তিনি জানান, ফরেস্ট গার্ড পদের সকল বৈষম্য দূর করে ফরেস্ট গার্ড থেকে ফরেস্টার পদে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি ও আঞ্চলিক কমিটির পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের শান্তপ্রিয় দাবি আদায়ের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।