ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চৌগাছায় পূনঃনির্মানের ৪ দিনেই ফের ভেসে গেলো এডিবির ড্রেন

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ১৩ জুলাই ২০২০

চৌগাছায় পূনঃনির্মানের ৪ দিনেই ফের ভেসে গেলো এডিবির ড্রেন

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের চৌগাছায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ড্রেন নির্মান করা এডিবি প্রকল্পের একটি ড্রেন নির্মানের একসপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টির পানিতে ভেসে যায়। এরপর সেটি পূনঃনির্মান করা হয়। পূনঃনির্মানের মাত্র ৪ দিনের মাথায় আবারও ওই ড্রেনটি বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথমবার বৃষ্টির পানিতে ভেসে যাওয়ার পর স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ড্রেনটি পূনঃনির্মান করে দেন কাজটির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। কিন্তু পূনঃনির্মানের সময় ইটের গায়ে আগে থেকেই লেগে থাকা সিমেন্ট-বালু ভালভাবে পরিস্কার না করায় ১০ জুলাই শুক্রবারের বৃষ্টিতে আবারো ড্রেনটি ধ্বসে ভেসে যায়। উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) আওতায় প্রায় তিন লক্ষ টাকা ব্যায়ে উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির থেকে পানি নিস্কাশনের জন্য মাধবপুর লক্ষণের বাড়ি হতে মাধবপুর বাওড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মান প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। জুন মাসের শেষ দিকে তড়িঘড়ি করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি এই ড্রেন নির্মান করে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন নির্মান কাজটি সরেজমিনে পর্যবক্ষেণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে বিল প্রদান করেন। কিন্তু অতি নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় নির্মানের এক সপ্তাহের মধ্যে ৩০ জুন পার না হতেই বৃষ্টিতে ওই ড্রেনটি ধ্বসে পড়ে ইট ও সামগ্রী ভেসে যায়। মাধবপুর সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি লক্ষণ চন্দ্র হালদার বলেন, আমরা বারবার কাজটির প্রাক্কলন দেখতে চেয়েছি। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন দেখান নি। তারা বলেছেন, অল্প টাকার কাজ। ওসব দেখা লাগবে না। এ নিয়ে দু’বার ড্রেনটি বৃষ্টির পানিতে ধ্বসে ভেসে গেল। সামনে ভরা বর্ষা মৌসুমে কি হবে ভগবানই জানেন। তিনি জানান, ড্রেনটি নির্মানের সময় খুবই নি¤œমানের ইট, খোয়া, বালু ব্যবহার করা হয়েছে। নির্মানের পরেই বৃষ্টির পানিতে সিমেন্ট বালু ধুয়ে গিয়ে ড্রেনটি ধ্বসে যায়। উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ মিশ্র জয় বলেন এটি খুবই দুঃজনক ঘটনা। এডিবির বরাদ্দে এই ড্রেন নির্মানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুবই নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ড্রেনটির সিমেন্ট বালু বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গিয়ে ধ্বসে পড়ে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন প্রথমবার ধ্বসে পড়ার পর ড্রেনটি নির্মান কাজের কয়েক দিনের মধ্যে ভেঙ্গে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছিলেন আমি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিককে বলেছি। তিনি পূনঃরায় মেরামত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
×