ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শরণখোলায় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে খাল দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ২২ জুলাই ২০১৮

শরণখোলায় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে খাল দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের শরণখোলায় গুরুত্বপূর্ণ রাজাপুর সরকারী খাল দখল করে বসত বাড়ী নির্মান সহ মাছ চাষ করছে একাধিক প্রভাবশালী। ইতোমধ্যে খালটির প্রায় ২ কিঃমিঃ এলাকা তারা দখল করে নিয়েছে। খালের বিভিন্ন স্থানে ২০/২৫ টি বাঁধ দিয়ে অনেকে মাছ চাষ শুরু করেছে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও চাষাবাদ ব্যহত হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। সুন্দরবন সংলগ্ন ৩৫/১ পোল্ডারের অভ্যন্তরে থাকা রাজাপুর মৌজার শত শত কৃষকের কয়েক হাজার একর জমির ফসল রক্ষার্থে অর্ধশত বছর আগে রতিয়া রাজাপুর এলাকায় ওই খালটি খনন করা হলে কৃষি উৎপাদনে ব্যাপক সাফল্য দেখা দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পলি জমে পানির প্রবাহ কমে যায়। এ সুযোগে খালটির দক্ষিণ পার্শ্বের প্রবেশ মুখে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি দখল করে বসতবাড়ী সহ বিল্ডিং নির্মান করেন। পরে খালটি দখল মুক্ত সহ পূনঃ খননের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ২০১৫/১৬ অর্থ বছরে একটি দরপত্র আহবান করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। একই অর্থ বছরে ওই খাল খননের দায়িত্ব পান সিলেটের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। যা পরবর্তীতে সাবকন্ট্রাকের মাধ্যমে খালটির একাংশের নাম মাত্র খনন করা হয়। পুরো কাজ না করেই তৎকালীন প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের যোগসাযশে সরকারী বরাদ্দকৃত কয়েক লাখ টাকা উত্তোলন করে নেয়। স্থানীয় কামাল হোসেন তালুকদার বলেন, সরকার চাষীদের কথা চিন্তা করে জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্দেশ্যে লাখ টাকা ব্যায়ে দুবছর পূর্বে খালটি খনন করলেও তা স্থানীয় চাষীদের কোন উপকারে আসছে না। খালের মুল অংশ দখল করে বসতি স্থাপন করায় প্রকল্পটি জনগনের কোন উপকারে আসছে না। ইতোমধ্যে খালটির প্রায় ২ কিঃমিঃ এলাকা দখল হয়ে গেছে। খালের বিভিন্ন স্থানে ২০/২৫ টি বাঁধ দিয়ে অনেকে মাছ চাষ শুরু করেছে। এধারা অব্যহত থাকলে একসময় বসতবাড়ি নির্মিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অচিরেই তিনি সরকারী খাল দখলমুক্ত করার জোর দাবী জানান প্রসাশনের কাছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রতিয়া রাজাপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, প্রভাবশালীদের ভয়ে তারা কোন কথা বলতে পারছেন না। ধীরে ধীরে খালটি দখল করে ফেলায়। প্রতিবছর চাষবাদ নিয়ে তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। স্বাভাবিক জোয়ার ভাটা বাধাগ্রস্থ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ওই অঞ্চলে। যার ফলে ফসলহানির আশঙ্কায় ভুগছেন তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, চাষাবাদের স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
×