ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসছে না

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ৮ জুলাই ২০১৭

খুলনায় ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসছে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধে খুলনা মহানগরীতে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসছে না। ধীরগতির কারণে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে সব কার্যক্রম। স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, বাড়ির মালিকদের সচেতনতার অভাব ও প্রচারণা না থাকায় এমন পরিস্থিতি। একই সাথে প্রশাসন বলছে, শীঘ্রই আবারও জোরালো করা হচ্ছে, ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম। বিভিন্ন জেলায় জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে বেশকয়েকটি অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। সবশেষ শনিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সন্দেহজনক জঙ্গী আস্তানায় অপারেশন ‘টেপিড পাঞ্চ’ পরিচালনা করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। প্রতিটি অভিযান শেষে তথ্য মেলে, যারা জঙ্গি তৎপরতায় সম্পৃক্ত তাদের বেশিরভাগই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে খুলনা মহানগরের সব বাড়ির মালিককে ভাড়াটিয়াদের তথ্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। শুরু হয় ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ অভিযান। কয়েক মাসে কতটা গতি এসেছে প্রশাসনের এমন কার্যক্রমে? নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের তথ্য থাকলে কমবে জঙ্গী তৎপরতা ও সন্ত্রাসী কার্মকান্ড। এজন্য আরো সচেতনতা ও প্রচার বাড়ানো উচিত। যদিও প্রশাসন বলছে, তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমে গতি বাড়াতে আরো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খুলনা নগরীর পাঁচটি থানার অধীনে বাড়ি রয়েছে ৬৬ হাজারের বেশি। কিন্তু গেলো পাঁচ মাসে তথ্য সংগ্রেহের ফরম জমা পড়েছে মাত্র আট হাজার। ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সাকার মেশিন স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অদূরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মনোগ্রাম সংবলিত একটি গাড়ির সামনে মানুষের জটলা। গাড়িটির আকার-আকৃতি প্রচলিত গাড়ির চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। ঝকঝকে নতুন দশ চাকার বিশাল সাইজের এ গাড়িতে মোটা পাইপসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল। ডিএসসিসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ড্রেনের ময়লা পানি ও আবর্জনা অপসারণ এবং ময়লা জমে বন্ধ হয়ে যাওয়া ড্রেন পরিষ্কারের জন্য সম্প্রতি ডিএসসিসির বহরে যুক্ত হয়েছে জেট ও সাকার নামের অত্যাধুনিক এ মেশিন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উত্তর দিকে রাস্তায় জমে থাকা পানিতে গাড়ি থেকে লম্বা পাইপটি বের করে রাখলেন। কয়েক মিনিটেই রাস্তার পানি হাওয়া! এবার গাড়িটি সামনে নিয়ে পাইপ দিয়ে সেই পানি ড্রেনে রাখা হলো। ইতালি থেকে আমদানিকৃত এ মেশিনটির দাম ১১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। গত ২২ জুন মেয়র সাইদ খোকন এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ জেট ও সাকার মেশিনে ২টি চেম্বার রয়েছে। ৯ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন সøাশ চেম্বার এবং ৬ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পানি চেম্বার। ড্রেনে জমে থাকা আবর্জনা জেট গতিতে পানি দিয়ে আঘাত করে পানিসহ আবর্জনা চেম্বারে জমা করে। এরপর শক্ত হয়ে যাওয়া আর্বজনা মেশিনে সংযোজিত ড্রিল দিয়ে গুঁড়া করে এয়ার ভ্যাকুয়ামের মাধ্যমে সøাশ চেম্বারে জমা হয়। সøাশ চেম্বারে শুধু সøাশ সংরক্ষিত করে পানি রিফাইন হয়ে অটোমেটিকভাবে পানির চেম্বারে চলে যায়। সøাশ চেম্বার পরিপূর্ণ হয়ে গেলে মাতুয়াইল নিয়ে গিয়ে অপসারণ করা হয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনেও (ডিএনসিসি) এমন একটি মেশিন রয়েছে বলে জানা গেছে। যা বর্তমানে রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধান ভরসা।
×