ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রেতার নাগালের বাইরে পেঁয়াজ

প্রকাশিত: ১২:১৫, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

ক্রেতার নাগালের বাইরে পেঁয়াজ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোনভাবেই পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। নানামুখী উদ্যোগের পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় সরবরাহ বাড়ানো ছাড়া দাম কমানোর বিকল্প দেখছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরবরাহ বাড়ানোর জন্য আমদানির ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, সরকারীভাবে পেঁয়াজ বিক্রির একমাত্র প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আইনী জটিলতার কারণে কোন পণ্য আমদানি করতে পারে না। বেসরকারী উদ্যোগে আমদানি করতে গেলে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতে হবে। কিন্তু কী সুবিধা তারা চাইবেন বা সরকার তাদের কী সুবিধা দেবে, তা আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন হবে সরকারের ওপর মহলের সিদ্ধান্ত। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে রবিবার (১২ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করলেও কোনও সিদ্ধান্ত দেননি বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন। উল্লেখ্য, ভারত সরকার গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫০ ডলারের প্রতিটন পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ৮৫২ ডলার। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা না যেতেই দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। ৫০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বিক্রি হতে থাকে ৮৫ টাকা দরে। পরবর্তী সময়ে কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের মূল্য কোথাও ১০০, কোথাও ১১০ আবার কোথাও ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে শুরু করে। এ সময় দেশে পেঁয়াজ নিয়ে অস্থিরতা চরম আকার ধারণ করে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। এদিকে, সরকারের এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৮ জন যুগ্ম সচিবকে ৮টি বিভাগীয় শহরে পাঠানো হয়। স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তারা বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত করার দায়িত্ব দেয়া হয় তাদের। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮ যুগ্ম-সচিব ৮টি বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি বিভাগের সব জেলা, উপজেলা পরিদর্শন করে ঢাকায় ফিরেছেন। এই ৮ যুগ্ম-সচিব রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে বাণিজ্য সচিবের দফতরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত হয়ে এই সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। ঢাকায় ফেরা কর্মকর্তাদের বর্ণনা মতে, সব সময় অভিযান ভালো ফল দেয় না। অভিযানে পেঁয়াজের সরবরাহ কিছু সময়ের জন্য বাড়লেও অভিযান শেষে আবার সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। ফলে মূল্য বেড়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত টিসিবির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য পড়ে সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ ও মুনাফা বাবদ সর্বোচ্চ ৫ টাকা যুক্ত করা যেতে পারে। কিন্তু কোনভাবেই কেজিতে ১২ থেকে ১৫ টাকা বেশি মূল্য যোগ করার সুযোগ নেই। ফলে অতিরিক্ত মূল্য বাড়ানোর কারণ অনুসন্ধান করে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আবারও দেশের পাঁচ জেলায় পাঁচ কর্মকর্তাকে পাঠনোর কথা ভাবছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজ উৎপাদনকারী তিন জেলা, ফরিদপুর পাবনা ও রাজবাড়ীসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায়ও যাবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মিয়ানমার থেকে থেকে আমদানি হয় বলে কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজার দেখতেই ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও পাবনার পাশাপাশি ওই দুই জেলায়ও দু’জন কর্মকর্তা পাঠানো হচ্ছে। এসব কর্মকর্তারা জেলায় জেলায় গিয়ে আবারও পেঁয়াজের সরবরাহ দেখবেন। অবৈধ মজুদ কেউ করলে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে তা বাজারে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই উদ্যোগের পাশাপাশি এই সঙ্কটময় পরিস্থিতি এড়াতে পেঁয়াজের আমদানির কথা ভাবছেন। আইনগত জটিলতায় টিসিবি কোনও পণ্যই আমদানির এখতিয়ার রাখে না। তবে সরকারের বিশেষ বিবেচনা আইনে টিসিবি পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিলেও সব প্রক্রিয়া শেষ করে তা দেশে পৌঁছাতে সময় লাগবে কমপক্ষে এক মাস। কিন্তু একমাস পর পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা বোধগম্য নয় কারোই। পাশাপাশি এই লম্বা সময়ে পেঁয়াজ পচে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ ২-৩টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশেষ করে, মেঘনা, সিটি, এস আলম বা ইগলুর মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার কথা ভাবছেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন। ইতোমধ্যেই তিনি কয়েকজনের সঙ্গে মৌখিক আলোচনাও করেছেন। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, যারা কখনোই পেঁয়াজের ব্যবসা করেননি বা পেঁয়াজ আমদানি করেননি, তারা কোন আগ্রহে পেঁয়াজ আমদানি করবেন? যেহেতু আমদানি প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ, সেহেতু একমাস বা দেড় মাস পর বাজারে চাহিদা কমে গেলে তাদের আমদানি করা পেঁয়াজ কিনবে কে? এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের এসব বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া হবে। তাদের আশ্বস্ত করা হবে, আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে চাহিদা থাকুক বা না থাকুক, তা সরকার কিনবে। একইসঙ্গে আমদানিকারকদের ব্যাংকিং সুবিধাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সুবিধা দিতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাণিজ্য সচিব। তবে কোনও কিছুই চূড়ান্ত করেননি তিনি। কারণ বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না বলেও তিনি মনে করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য সচিব তার একান্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘গণমাধ্যমে জানানোর মতো কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। নানামুখী আলোচনা চলছে। এই মুহূর্তে বাণিজ্যমন্ত্রীও দেশে নেই। এছাড়া সোমবার (১৪ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক। সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও থাকতে পারে। এসব কারণে এই মুহূর্তে কোনও কথা বলতে চাননি বাণিজ্য সচিব। খাতুনগঞ্জেও দাম বাড়ছে পেঁয়াজের ॥ ভারত রফতানি বন্ধ করায় মিয়ানমারের বাজার ধরতে দেশের ব্যবসায়ীরা চট্টগ্রামমুখী হওয়ায় লাগামহীনভাবে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। চাহিদা দ্বিগুণ বাড়লেও প্রতিনিয়ত কমছে সরবরাহ। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে আনার পথে নানা জটিলতায় পচে যাচ্ছে অধিকাংশ পেঁয়াজ। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা বলছেন, সঙ্কট সমাধানে নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি সরকার হস্তক্ষেপ না করলে সঙ্কট আরও তীব্র হবে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে স্বাভাবিক সময়ে দিনে পেঁয়াজের চাহিদা সাড়ে ৩০০ টন। ভারত রফতানি বন্ধ করায় বিকল্প দেশ মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজের বাজার এখন খাতুনগঞ্জের দখলে। তাই সারাদেশের ব্যবসায়ীরা এ বাজারমুখী হওয়ায় চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ থেকে ৫০০ টনে। কিন্তু খাতুনগঞ্জে প্রতিদিন মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের অধিকাংশই পঁচা। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। পেঁয়াজ পচার জন্য অতিরিক্ত বোঝাই ও টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করলেন খাতুনগঞ্জ আহাদ এন্টারপ্রাইজের আমদানিকারক আবদুল আহাদ। আকাশ ছোঁয়া দাম কিছুটা কমে মাঝখানে স্বস্তি ফিরলেও আবারও লাগামহীন পেঁয়াজের দাম। দেশের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জেই যা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ষাট থেকে পঁচাশি টাকা কেজিতে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে কেন বিশ থেকে পঁচিশ টাকা বেড়ে গেল এই পণ্যটির দাম? আড়তদাররা বলছেন, ভারতের রফতানি বন্ধের পর এখন প্রচুর পেঁয়াজ আসছে মিয়ানমার থেকে। ভারত থেকেও আসছে আগে এলসি করা পেঁয়াজের চালান। কিন্তু দুইদেশ থেকে আসা চালানের একটি বড় অংশই নষ্ট ও পঁচা। যেগুলো কেজি প্রতি বিক্রি করতে হচ্ছে সর্বনিম্ন পাঁচ টাকায়। ফলে খরচ পোষাতে গিয়ে বাছাই করা ভাল পেঁয়াজের দাম হয়েছে আকাশচুম্বী। রবিবার খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ষাট থেকে সত্তর টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে সত্তর থেকে পঁচাশি টাকা পর্যন্ত। নষ্ট পেঁয়াজ আমদানির পাশাপাশি দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমে গিয়ে আড়তেও নষ্ট হচ্ছে অনেক পেঁয়াজ। পেঁয়াজের এমন উর্ধগতিতে বিপাকে খুচরা ব্যবসায়ীরাও। বিভিন্ন স্থান থেকে যারা পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন, বাড়তি দামে তাদেরও মাথায় হাত। তবে সপ্তাহ দুয়েক আগে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও এখন সেটিও বন্ধ। এ অবস্থায় সঙ্কট সমাধানে সরকারের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দাবি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ পরিচালক সৈয়দ ছগির আহমেদ। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ১০০ এর বেশি পেঁয়াজের আড়ত রয়েছে। কৃত্তিম সঙ্কট তৈরির অভিযোগ ॥ অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুদ রেখে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ভোলার আড়তদারদের বিরুদ্ধে। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আড়তদাররা। বলছেন অল্প লাভেই বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ করছেন তারা। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। আর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। দ্বীপ জেলা ভোলায় পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম নেয়া হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা। আর খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। স্থানীয় ভোক্তাদের অভিযোগ, কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে বাড়তি দাম নিচ্ছে আড়তদাররা। এ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের দাবি সাধারণ ক্রেতাদের। ক্রেতাদের অভিযোগ, পেঁয়াজের এত দাম হলে আমরা গরিব মানুষ কিভাবে চলব। সরকার থেকে যদি সবসমই বাজার মনিটরিং করা হয়, সেক্ষেত্রে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকতে পারে। অভিযোগ উঠেছে, মোবাইল কোর্ট পরিচালিত অভিযানের পর পেঁয়াজ সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন আড়তাদাররা। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আড়তদাররা বলছেন, মোকামে পেঁয়াজের দাম বেশি। অল্প লাভেই পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তারা। জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলছে, ক্রয় ভাউচার দেখিয়ে কেজিতে সর্বোচ্চ পাঁচ টাকা মুনাফা করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। সঙ্কট নিরসনে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, যদি কেউ কৃত্তিম সঙ্কট করে এবং বাজারকে তারা নিজেদের মতো নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তবে তাদের খুঁজে বের করে আমাদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
×