ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রেলের সেবা বাড়াতে ৮৪১ কোটি টাকায় ২০টি ইঞ্জিন কেনা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:১০, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

রেলের সেবা বাড়াতে ৮৪১ কোটি টাকায় ২০টি ইঞ্জিন কেনা হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রেলওয়ের সেবা বাড়াতে কোরিয়া থেকে ৮৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি ডিজেল ইলেকট্রিক রেল ইঞ্জিন কেনা হবে। সরকার টু সরকার বা জিটুজি পদ্ধতির আওতায় কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে এসব ইঞ্জিন কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রুওয়াইনস ফার্টিলাইজার থেকে প্রথম লটে ২৫ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৫৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসবসহ আর কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের জানান, কোরিয়া থেকে ২০টি এমজি ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ ( রেল ইঞ্জিন) সংগ্রহের একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। সরকার টু সরকার (জি টু জি) পদ্ধতিতে ৮৪১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব ইঞ্জিন সরবরাহের কাজ পেয়েছে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি। বাংলাদেশে সরকার ও রেকারিয়ার এক্সিম ব্যাংক এ অর্থায়ন করছে বলেও জানান তিনি। এর আগে গত ১০ অক্টোবর (১০ অক্টোবর) রাজধানীর রেলভবনে কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি ও বাংলাদেশ রেলওয়ের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। জানা গেছে, হুন্দাই রোটেম চুক্তি সইয়ের দেড় থেকে ৫ বছরের (১৮ রথকে ৬০ মাস) মধ্যে রেল ইঞ্জিনগুলো সরবরাহ করবে। প্রতিটি ইঞ্জিন ১৮০০ হর্স পাওয়ার সম্পন্ন ও পরিবেশ বান্ধব। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৭৮টি মিটারগেজ ইঞ্জিন রয়েছে, এরমধ্যে ১৩৯টির মেয়াদোত্তীর্ণ (২০ বছর হিসাবে) হয়ে গেছে। এছাড়া বৈঠকে এসএএসইসি সড়ক সংযোগ প্রকল্পে তিনটি লটে ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া ভগড়া বাজার ইন্টারসেকশন থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস ইন্টারসেকশন দুই লেন থেকে চার লেন এবং ১০টি ফ্লাইওভারে নির্মানে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যায় বৃদ্ধির পর এর মোট ব্যয় দাড়াল এক হাজার ৩৫ কোটি টাকা। একই প্রকল্পে কালিয়াকৈর বাইপাস থেকে দুল্লামারি রোড পর্যন্ত দুই লেন থেকে চার লেনে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস নির্মানসহ ৩১৩ কোটি টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। ব্যয় বৃদ্ধির পর এর মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৯৫৮ কোটি টাকা। একই প্রকল্পে দুল্লামারি থেকে টাঙ্গাইল রুটে দুই লেন থেকে চার লেন করতে ২৩২ কোটি টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। এর ফলে এর মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। প্রথম লটে ২৫ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির করা হবে। এছাড়া এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের রুওয়াইনস ফার্টিলাইজার কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ দেড় লাখ টন ইউরিয়া নিরবচ্ছিন্ন আমদানিতে লটভিত্তিক ম্ল্যূ ৫০ কোটি টাকার উর্ধেব গেলেও কমিটির আলাদা আলাদা অনুমোদনের পরিবর্তে বিশেষ বিবেচনায় এ বছরেরর অন্যসব লটের অনুমোদনের ক্ষমতা শিল্পমন্ত্রীকে দেয়ার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে ৩২৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সচিবালয়ে ২০ তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন প্রকল্প কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। জেকেবি এ্যান্ড কোম্পানী এ কাজ পেয়েছে বলে জানান নাসিমা বেগম।
×