ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী বছরে ব্যবসা বাণিজ্য ঘিরে নতুন শঙ্কা

প্রকাশিত: ২১:৫০, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

নির্বাচনী বছরে ব্যবসা বাণিজ্য ঘিরে নতুন শঙ্কা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নির্বাচনী বছর মানেই ব্যবসা বাণিজ্য আর অর্থনীতি ঘিরে নতুন আশঙ্কা। এমন ধারণা প্রায় প্রচলিত হয়ে গেছে ব্যবসায়ী মহলে। সেই সাথে, বিদেশি ক্রেতারাও কমিয়ে দিচ্ছেন ক্রয়াদেশ। আর এবারের পরিস্থিতি একেবারে ভিন্ন হওয়ায়, শঙ্কাটা যেন আরো বড় হয়েছে নানা মহলে। অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, রাজনীতিকে অর্থনীতি থেকে আলাদা করে নতুন কৌশল নেয়ার কথা বলা হলেও, সে পথে হাঁটতে পারছে না কোনো সরকারই। ফলে এই অনিশ্চয়তা বড় হচ্ছে দিন দিন। অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালক তৈরি পোশাক খাতের রফতানিকারক রুবানা হক। তারঁ অভিজ্ঞতা হলো, যে বছর নির্বাচন হয়, সে বছর দেশের ব্যবসা বাণিজ্য এবং অর্থনীতি পড়ে যায় নতুন শঙ্কায়। আর দীর্ঘ দিনের সেই অভিজ্ঞতা আমলে নিয়ে বিদেশি ক্রেতারাও সম্প্রতি বদলেছেন তাদের ব্যবসার ধরণ। যা উল্টো দুর্বভাবনায় ফেলেছে ব্যবসায়ীদের। সাম্প্রতিক ইতিহাস বলছে, নির্বাচনের পরের বছরেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় বদল এসেছে এদেশে। যার বেশিরভাগই নেতিবাচক। যেমন, ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত হওয়া পাঁচটি নির্বাচনের পরের বছরগুলোতে তিনবারই প্রবৃদ্ধি কমেছে আগের বছরের চেয়ে। বিপরীতে বেড়েছে দুই বার। যার পেছনে, রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা আর আতঙ্ককে দায়ি করছেন অনেকে। তবে, এবারের বাস্তবতাকে পুরনো গতির সাথে মেলাতে রাজি নন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান। তার মত হলো, অবস্থা এখন এতটাই ভয়াবহ, যার প্রভাব কেবল স্বল্প নয়, দীর্ঘ মেয়াদি। চলতি বছর এমনিতেই খানিকটা ঝুঁকিতে অর্থনীতি। কারণ, ব্যাংক খাতে নেমেছে বিপর্যয়। বাড়তে শুরু করেছে তারল্য সঙ্কট এবং সুদহার। এমনকি গুণগত বিনিয়োগেও গতি নেই খুব বেশি। এমন বাস্তবতায়, নির্বাচনকালীন সঙ্কট অর্থনীতিতে প্রভাব ফেললে এর ভার বইতে হবে ভবিষ্যতের জন্য। তাই, পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, অর্থনীতিকে সুরক্ষা দিয়ে রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণের। যদিও এই শঙ্কা ভিত্তিহীন সরকারি মহলে। কেননা, বাড়িয়ে ধরা হয়েছে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা।
×