বেসরকারি খাতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হচ্ছে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার \ স্বাধীনতার সাড়ে চার দশক পরও বেসরকারি খাতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ হচ্ছে না বাংলাদেশে। এর কারণ হিসেবে উদ্যোক্তারা দায়ী করছেন, জমির স্বল্পতা, গ্যাস-বিদ্যুত সংকট ও ঋণের উচ্চ সুদের হারকে। সেই সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী নীতিমালার অভাব ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে আস্থার সংকট ও ব্যবসার খরচ। তবে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টিতে রোডম্যাপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা। স্বাধীনতার পর একই সাথে চলে দেশ পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাজ। ভঙ্গুর অবকাঠামোর মধ্যে ৮০' র দশক পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে মূলত সরকারি পর্যায়ে। বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে ১৯৮৯ সালে গঠন করা হয় বিনিয়োগ বোর্ড। তবে নানা জটিলতার কারণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি সংস্থাটি। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০০৫ সালে ৪৩ হাজার ৩৫৬ কোটি ৪ লাখ ১৮হাজার ৫২৯, ২০১০ সালে ৬৫ হাজার ৮৩৪ কোটি ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৬, ২০১৫ সালে ৯৪ হাজার ৯৭৯ কোটি ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৫৪, ২০১৬ সালে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২৫ কোটি ২ লাখ ৯২ হাজার ৯৩৯, ২০১৭ সালে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫৫ কোটি ২লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৪। তবে অবকাঠামো সমস্যা, বিনিয়োগের সুরক্ষা ও উপযুক্ত নীতি- কৌশল না থাকায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন শিল্প উদ্যোক্তারা। বিনিয়োগ বাড়াতে আস্থার সংকট কাটানোর পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ এবং আর্থিক খাতের দুর্নীতি বন্ধের আহ্বান অর্থনীতিবিদদের। ড. সেলিম রহমান বলেন, 'সরকারি উদ্যেয়াগে সরকারের যে পরিকল্পনা আছে, এগুলো কবে বাস্তবায়ন হবে?' বিডা পরিচালক তৌহিদুর রহমান বলেন, 'বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতে রোডম্যাপ করা হয়েছে। আগামী মার্চ থেকে অনলাইনে দেয়া হবে সব সেবা।' বর্তমানে বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ জিডিপির ২৩ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশে নিতে হলে বেসরকারিখাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশ উন্নীত করতে হবে। ##