ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে

প্রকাশিত: ২২:০৯, ২৯ মে ২০১৭

রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পবিত্র রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। চলতি মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসীরা ৮০৭ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত মাসের (এপ্রিল) ১ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশে রেমিটেন্স এসেছে ৬৯২ মিলিয়ন ডলার। যা আগের মাসের একই সময়ের তুলনায় ১১৫ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন ডলার বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান মুখপাত্র শুভঙ্কর শাহ বলেন, ‘সাম্প্রতিক প্রবাহ ধীরে ধীরে রেমিটেন্স বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং এই প্রবণতা সামনের মাসগুলোতে বজায় থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে দেশে রেমিটেন্স এসেছে এক হাজার ৯ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ৯৪০ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার, মার্চে এক হাজার ৭৭ দশমিক ৫২ মিলিয়ন ডলার এবং এপ্রিলে এক হাজার ৯২ দশমিক ২৬ মিলিয়ন ডলার। সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং অপারেটরদের বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর শাহ বলেন, ‘রেমিটেন্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসাটা একটা ভালো লক্ষণ। অনেক অনাবাসিক বাংলাদেশি (এনআরবি) দেশে টাকা পাঠাতে মোবাইল ব্যাংকিংসহ কিছু অবৈধ পন্থা অবলম্বন করেন। এছাড়া ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মান হ্রাস এবং তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর আয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ সেখানেই অধিকাংশ বাংলাদেশি অভিবাসী কাজ করেন।’ তিনি আরও বলেন, অবৈধ পথে অভিবাসী শ্রমিকদের টাকা পাঠানো বন্ধে বিকাশ অথবা রকেটের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলাকে চিঠি দিয়েছে।’ সূত্র জানায়, দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুটি তদন্ত টিম মার্চ মাসে সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া সফর করে। এ সময় তদন্ত দল অনাবাসীদের দেশে টাকা পাঠাতে অবৈধ পথ বেছে নেওয়ার কারণ শণাক্ত করে। যার মধ্যে রয়েছে- সহজ ব্যবস্থাপনা ও ব্যবস্থাপনা খরচ কম। শুভঙ্কর শাহ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করতে সরকার রেমিটেন্স পাঠানোর পদ্ধতি সহজ করতে এটা পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।
×